দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক জিএন সাইবাবাকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিল বম্বে হাই কোর্ট। মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিচারপতি রোহিত দেও এবং অনিল পনসরের ডিভিশন বেঞ্চ ধৃত অধ্যাপককে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছে। ২০১৭ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে মামলা করেন অধ্যাপক সাইবাবা। ডিভিশন বেঞ্চ তাঁকে দ্রুত জেল থেকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
শারীরিক প্রতিবন্ধকতার দরুণ জি এন সাইবাবাকে হুইল চেয়ার ব্যবহার করতে হয়। আপাতত তিনি নাগপুর সেন্ট্রাল জেলল রয়েছেন। তাঁর পাশাপাশি বাকি ৫ বন্দিকেও বেকসুর খালাস করেছে হাই কোর্ট।
সাইবাবার স্ত্রী বসন্ত কুমারী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ধৃত অধ্যাপক একজন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী৷ ৭ বছর ধরে তাঁকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থার চূড়ান্ত অবনতি ঘটেছে। বসন্ত কুমারী জানিয়েছেন, আদালতের রায়ের পর তাঁরা যত দ্রুত সম্ভব সাইবাবাকে জেল থেকে বের করে আনার চেষ্টা করছেন।
২০১৭-র মার্চে মহারাষ্ট্রের গাড়চিরোলি সেশন আদালত সাইবাবা, এক সাংবাদিক, এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া সহ আরও কয়েকজনকে মাওবাদী যোগ এবং রাষ্ট্রদ্রোহী কার্যকলাপে মদতের অভিযোগের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধিরএবং ইউএপিএ -র আওতায় একাধিক মামলা দায়ের হয়।