কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি বলছে, ফাঁকি দিলে এবার নিজেকেই ফাঁকে পড়তেই হবে। কারণ, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ফের পাস-ফেল ফিরছে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণিতে। সপ্তাহের শুরুতে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একটা জানাল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। তবে, ফেল করা পড়ুয়ার কাছে সুযোগ থাকছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ফেল করা পড়ুয়ার সামনে দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় বসার সুযোগ থাকবে। দু মাসের মধ্যে তার পরীক্ষা নিতে পারবে স্কুল। সেই পরীক্ষায় পাস না করলে, কী হবে ওই পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ ? কেন্দ্রীয় বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট, দ্বিতীয়বারও ফেল করলে ওই পড়ুয়াকে ক্লাসে তোলা যাবে না।
তবে, এই ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশিকা হল, কোনও পড়ুয়াকেই স্কুল থেকে বার করে দেওয়া যাবে না। ফেল করা পড়ুয়াকে বিশেষভাবে সাহায্য করতে হবে শিক্ষকদের। কোথায় খামতি, খুঁজে বার দায়িত্ব শিক্ষকদেরই।
মাত্র পাঁচ বছর আগে দ্বিতীয়বার দিল্লির মসনদে বসে শিক্ষার অধিকার রক্ষার আইনে মোদী সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল বুনিয়াদি শিক্ষাকে মজবুত করতে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের ফেল করানো চলবে না। রাজনৈতিক মহলের দাবি, সরকারি এই সিদ্ধান্তের পিছনে কাজ করেছিল তৎকালীন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের মগজ।
কিন্তু পাঁচ বছর পরেই হঠাৎ ভোলবদল। সেই শিক্ষার অধিকারেই ফের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণিতে পাস-ফেল প্রথা। কেন এই ভোলবদল কেন্দ্রের। তাতে জানা গিয়েছে, গত পাঁচ বছরে কেন্দ্রের পাস-ফেলের এই সিদ্ধান্তকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে দেশের ১৬টি রাজ্য ও দুটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল। তবে, কেন্দ্রীয় আইনকে ভীষণ ভাবে অনুসরণ করেছিল বাংলা।
নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্রের এই আইন মানা হবে কীনা, তা সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির উপর। কেন্দ্রের নয়া পাশ-ফেল নীতি কার্যকর হতে চলেছে কেন্দ্রীয় বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন দেশের ৩০০০-এরও বেশি স্কুলে। এই তালিকায় রয়েছে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, নবোদয় বিদ্যালয় এবং সৈনিক স্কুলগুলিও।