ইদের আগের দিনই পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয় রাজস্থানের যোধপুরে (Jodhpur Clash) । পাঁচজন পুলিশকর্মী আহত হন । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই মধ্যরাতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা । পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে । কিন্তু, তার রেশ কাটতে না কাটতেই ইদের (Eid) সকালেই ফের অশান্ত হয়ে ওঠে যোধপুর (Communal Violence) । মঙ্গলবার সকালে জালোরি গেটের কাছে নমাজ পরার পর ফের পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে । এর জেরে কিছু যানবাহনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) । ঘটনাকে 'দুর্ভাগ্যজনক' বলে ব্যাখ্যা করেছেন । সেইসঙ্গে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন তিনি ।
কী ঘটেছিল ?
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাতে । ইদের আগে জালোরি গেটে এক গোষ্ঠাীর কিছু লোক ধর্মীয় পতাকা লাগানোর সময়, অন্য গোষ্ঠীর লোকেরা আপত্তি তোলে । দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চলে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় এবং সংঘর্ষ । প্রথমে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ । কিন্তু, ফের শুরু হয় পাথর ছোঁড়াছুঁড়ি । উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য হয় । সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ব্যবহার করে পুলিশ । এই ঘটনায় কমপক্ষে পাঁচজন পুলিশ জখম হন । ফের মঙ্গলবার সকালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওই এলাকা । গোটা যোধপুরে ইন্টারনেট পরিষেবা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে । পরিস্থিতি নিয়ে যাতে গুজব না ছড়ায়, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে । উল্লেখ্য, গত তিনদিন ধরে যোধপুরে পরশুরাম জয়ন্তী উৎসব চলছে। সঙ্গে ইদের উৎসব।
এই ঘটনার পরই শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানিয়ে টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট । উল্লেখ্য, যোধপুর গেহলটের নিজের জায়গা । টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, "যোধপুরের জালোরি গেট এলাকার এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক । আমি জনগণকে শান্তি বজায় রাখতে, উত্তেজনা অবসানের আহ্বান জানাই । পুলিশ প্রশাসনকে পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । আমি রাজনীতিবিদদের কাছেও আবেদন জানাতে চাই । যে কোনও দলের কর্মী, নেতা বা জনপ্রতিনিধিদের প্রথম দায়িত্ব হল হিংসা বা উত্তেজনা না ছড়ানো । "