লোকসভা ভোটের আগে জয়নগরেই কার্যত জোট নীতি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। কালীঘাটের বৈঠকেও রাম-বামকে আক্রমণ করলেও কংগ্রেসের কথা মুখে আনেননি মমতা। ইঙ্গিতেই বুঝিয়ে দিয়েছেন, দিল্লির মসনদ থেকে বিজেপির বিদায়ে তিনি কংগ্রেসকে পাশে চাইছেন। তাঁর এই বার্তাকেই এবার কার্যত মান্যতা দিতে চলেছে কংগ্রেস।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, আগামী সপ্তাহেই আসন রফার জন্য প্রথম রাউন্ডের বৈঠক করতে পারে কংগ্রেস ও তৃণমূল। বাংলায় ছটি আসন দাবি করেছেন অধীর চৌধুরীরা। তৃণমূল আগেই বলে দিয়েছে, দুটির বেশি আসন তারা কংগ্রেসকে দিতে পারবে না। এই অঙ্ক মাথায় নিয়েই দুই রাজনৈতিক দলের বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের। সূত্রের খবর, তৃণমূলের সঙ্গে আসনরফায় অধীরদের তত্ত্বকে আমল নাও দিতে পারে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
মোটামুটি ভাবে কংগ্রেস এবার তিনশোর কম আসনে লড়াই করতে চাইছে। ইতিমধ্যে বিহার ও উত্তরপ্রদেশে আসন রফা নিয়ে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। দিল্লি-সহ একাধিক রাজ্যে আম আদমি পার্টির সঙ্গে দড়ি টানাটানি চলছে। কারণ, দিল্লি ও পঞ্জাব ছাড়া, গুজরাত, গোয়াতেও কংগ্রেসের থেকে আসন চেয়েছে আপ। তবে বাংলায় তৃণমূলকে অগ্রাধিকার দিতে চান কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা। তাই, দ্রুত জট কাটাতে মরিয়া এখন মুকুল ওয়াসনিকের নির্বাচন কমিটি।