কেন নীরব মোদী ? রাহুল গান্ধী সাংসদ পদ খারিজের প্রশ্নে এবার প্রধানমন্ত্রীকেই আক্রমণের কেন্দ্র করল বিরোধী দল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ যাঁর পদবি তুলে শাস্তি পেলেন তাঁদের নেতা, সেই প্রধানমন্ত্রী কীনা এখনও চুপ, এটা কীভাবে সম্ভব হয়। যদিও রাহুল গান্ধী শনিবার নিজে জানিয়েছেন, তিনি চুপ করে থাকবেন না। আদানি নিয়ে তাঁর প্রশ্নবাণ অব্যাহত থাকবে। কারণ, তিনি সাভারকর নন, তিনি গান্ধী, তাই ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। পাল্টা তোপে বিজেপি জানিয়েছে, আইন আইনের পথেই কাজ করেছে। রাহুল গান্ধীর শাস্তি ভারতীয় রাজনীতিতে কোনও ব্যতিক্রমী ঘটনা নয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি গৌতম আদানিকে নিয়ে সংসদের মধ্যে প্রশ্ন তোলায়, তাঁকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হল। সাংসদ পদ খারিজের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা এই অভিযোগ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, দেশের প্রতিরক্ষায় আদানি ঘনিষ্ঠ এক চিনা সংস্থাকে বরাত পাইয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। এদিন রাহুলের অভিযোগ, মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেই তাঁর বিমানে সফরসঙ্গী আদানির ছবি নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। এর পর দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরের নিয়ম বহির্ভূত ভাবে আদানিকে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
দিল্লিতে এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গান্ধী দাবি করেছেন, তাঁর ভারত জড়ো আন্দোলন এবং শিল্পপতি গৌতম আদানিকে নিয়ে তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপে ভয় পেয়ে গিয়েছিল মোদী সরকার। সেই কারণ, তাঁকে পুরনো মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। উল্লেখ্য ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের প্রচারে কর্নাটকে রাহুল অভিযোগ করেছিলেন, সব মোদী চোর। সেই মামলায় গত বৃহস্পতিবার তাঁর দু বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে সুরাত আদালত।
এদিকে, যে আইনে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে, তা কী বৈধ ? এই প্রশ্ন তুলে শনিবার সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছে একটি জনস্বার্থ মামলা। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের আট ধারার তিন উপধারার সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই মামলা করেছেন সমাজকর্মী আভা মুরলীধরণ।