আগামী বছর লোকসভা ভোটের আগে, জুলাইয়ে হবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (President election)। যা নিয়ে কার্যত এখন থেকেই তৎপরতা শুরু বিরোধী শিবিরের। অ-বিজেপি দলগুলিকে এক ছাতারতলার আনার ব্য়াপারে উদ্যোগী হলেন সেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। তামিলনাড়ুর (Tamil nadu) মুখ্যমন্ত্রী ও ডিএমকে নেতা এম কে স্ট্যালিন (M K Stalin) এবং তেলঙ্গনার (Telangana) মুখ্যমন্ত্রী ও টিআরএস নেতা কে চন্দ্রশেখর (K Chandrashekar Rao) রাওয়ের সঙ্গে এই ব্য়াপারে একদফায় টেলিফোন করেছেন মমতা।
এই ইস্যুতে তৃণমূল নেত্রী স্পষ্ট করেছেন, তিনি বিরোধী জোটে কংগ্রেসের বদলে আঞ্চলিক দলগুলিরই আধিপত্য চাইছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘তৃণমূল নিজের মতো চলবে। কংগ্রেস তার নিজের মতো চলবে।’’ দু’একটি আঞ্চলিক দল সরকার গড়তে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে বাধ্য হলেও, কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও আঞ্চলিক দলেরই সম্পর্ক ভাল নয় বলেও দাবি করেছেন মমতা।
উল্টো দিকে কংগ্রেসও মমতা ও চন্দ্রশেখর রাওয়ের ভূমিকাকে খুব ভালভাবে দেখছে না। কারণ, গোয়ায় তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব সনিয়া গান্ধির দল। একইসঙ্গে তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওকে 'গিরগিটি' বলেই মনে করছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের দাবি, বাইরে যা বলুক না কেন, সংসদের ভিতরে সবসময় বিজেপির দিকেই ঝুলে থাকে টিআরএস। তাই, পরবর্তী সময়ে চন্দ্রশেখর রাও ভোল বদলাবেন কীনা, তার কোনও গ্য়ারান্টি নেই বলেই অভিযোগ কংগ্রেসের।
মমতা সক্রিয় হয়ে স্ট্যালিন, রাওকে ফোন করার পরে চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী, শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করবেন। কংগ্রেস শিবির মনে করছে, মমতা আসলে আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে কথা বলে নিজেদের পছন্দ মতো প্রার্থী ঠিক করে কংগ্রেসের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করবেন। বার্তা দেবেন, বিরোধী জোটের নেতৃত্ব কংগ্রেস দেবে না। আঞ্চলিক দলগুলির হাতে রাশ থাকবে।