বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির রাজ্য। এই রাজ্য় থেকে মোদী সরকারে রয়েছেন অন্যতম এক কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। যিনি নিজে প্রাক্তন বোর্ড সভাপতি। এ হেন জগৎ প্রকাশ নাড্ডা ও অনুরাগ ঠাকুরের হিমাচল প্রদেশে ভোট ময়দানে টি-টোয়েন্টি খেলল কংগ্রেস। তবে ৩০ বছর পর গান্ধী-নেহরু পরিবারের বাইরে এসে কোনও কংগ্রেস সভাপতির নেতৃত্বে এই জয়ে অবশ্য পুরোপুরি স্বস্তি নেই শতাব্দী প্রাচীন এই রাজনৈতিক দল। মল্লিকার্জুন খাগড়ের প্রথম জয়েও কাঁটা হতে পারে ঘোড়া কেনাবেচা। কারণ, রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও, তা নিরঙ্কুশ নয় কংগ্রেসের কাছে। এরসঙ্গে রয়েছে দলীয় কোন্দল। তারমধ্য়েই সরকার তৈরি হবে এই ভাবনা থেকেই ভোট গণনার পরেই কাজ শুরু করেছেন কংগ্রেস নেতারা। মুখ্য়মন্ত্রী পদে ভাসছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের স্ত্রী প্রতিভা সিংয়ের নাম। এদিকে, বিকেলেই হার স্বীকার করে মুখ্য়মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তাফা দিয়েছেন জয় রাম ঠাকুর। ফলে ছত্তিশগড়, রাজস্থানের পর হিমাচল হাতের মুঠোয়।
পাঁচ বছর পর সরকারের বদল। ১৯৮৫ সাল থেকে এই রেওয়াজ পাহাড়ি রাজ্য়ে। ৩৭ বছর পর যার কোনও ব্য়তিক্রম হল না। প্রতিটি বুথ ফেরত সমীক্ষায় ফল নিয়ে স্পষ্ট কিছু না বলা হলেও, এগিয়ে রাখা হয়েছিল বিজেপিকে। তাই বিজেপি সভাপতির রাজ্যে গেরুয়া রেকর্ড হতে চলেছে তা কার্যত একপ্রকার ধরেই নিয়েছিলেন বিজেপির শীর্ষনেতারা। কিন্তু গণনার শুরুতে এগিয়ে থেকেও নাড্ডার রাজ্য়ে গদিহারা বিজেপি।
অঙ্ক বলছে আগামী পাঁচ বছরের জন্য় সরকার তৈরি করবে কংগ্রেস। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে যা পার্থক্য, তাতে স্বস্তি থাকতে পারছেন না রাজ্য়ের কংগ্রেস নেতারা। কারণ, চারটি আসনে জিতেছে অন্যান্যরা। সরকার গঠনে তাঁরাও ফ্যাক্টর হতে পারেন। বিজেপি সভাপতির রাজ্যে খুব দ্রুত হেরে যাবে গেরুয়া শিবির এমনটা নাও হতে পারে বলে এখন থেকেই আশঙ্কা কংগ্রেসের। তাই ইতিমধ্যে জয়ী বিধায়কদের সুরক্ষিত জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাতে যদি ঘর বাঁচানো যায়।