সাইরাস মিস্ত্রির গাড়ি দুর্ঘটনায় নতুন তথ্য দাবি করল মহারাষ্ট্র পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, গুজরাতের আহমেদাবাদ থেকে মুম্বই ফেরার পথে মাত্র নয় মিনিটে ২০ কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে ছিল ওই গাড়ি। তার গতি ছিল ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার। এমনকী, প্রাথমিক তদন্ত দাবি সিটবেল্ট ছাড়ায় গাড়ি বসেছিলেন টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্য়ান সাইরাস মিস্ত্রি। বেপরোয়া গতির জেরেই সাইরাসের মৃত্যু বলে প্রাথমিক রিপোর্টে দাবি করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, সাইরাস ছাড়া ওই গাড়িতে ছিলেন তাঁর বন্ধু দারিয়াস পান্ডোলে, তাঁর স্ত্রী অনাহিতা এবং অনাহিতার ভাই জাহাঙ্গির। মুম্বইয়ে অন্যতম সেরা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অনাহিত। তিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে দাবি পুলিশে। সিসি ফুটেজ দেখে মহারাষ্ট্র পুলিশ জানিয়েছে, পালঘরের চারোটি এলাকায় নদী সেতুর উপর থাকা ডিভাইডারে প্রথম ধাক্কা খায় সাইরাসের গাড়ি। সাইরাস এবং জাহাঙ্গির গাড়ির পিছনের আসনে বসেছিলেন। তাঁরা দু’জনেই সিট বেল্ট পরেননি। পরীক্ষা নিরীক্ষায় জানা গিয়েছে, নিহত জাহাঙ্গিরের বাম পা ভেঙে গিয়েছে। মাথাতে রয়েছে গভীর চোট। সাইরাসের মাথাতেও গভীর চোটের প্রমাণ মিলেছে। সোমবার সকালে অনাহিতা এবং দারিয়াসকে মুম্বইয়ের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
টাটার ষষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে টাটা সন্সের এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছিলেন সাপুরজি-পালনজি পরিবারের সদস্য সাইরাস মিস্ত্রি। তিনি ছিলেন সংস্থার দ্বিতীয় চেয়ারম্যান যাঁর পদবি টাটা ছিল না। ২০১৬ সালে তাঁকে সেই পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থার বোর্ড অব ডিরেক্টর্স। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত মানতে রাজি ছিলেন না সাইরাস। সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এনসিএলএটির দ্বারস্থ হয় সাইরাস মিস্ত্রির সংস্থা সাইরাস ইনভেস্টমেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড এবং স্টারলিং ইনভেস্টমেন্টস কর্পোরেশন। এই সংঘাত সাড়া ফেলেছিল দেশে।