দিল্লি হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুণাওয়ালাকে নার্কো অ্যানালিসিস টেস্ট করানো হবে । সম্প্রতি, এমনই নির্দেশ দিয়েছে সাকেত আদালত । দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, যত দ্রুত সম্ভব আফতাবের নার্কো পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে । পাশাপাশি, খুনের মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ । জানা গিয়েছে,ইতিমধ্যেই তদন্তের কাজে সিবিআইয়ের ফরেন্সিক টিমের সাহায্য নিতে শুরু করেছে দিল্লি পুলিশ ।
সাধারণত, বড় ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত সন্দেহভাজনের নার্কো পরীক্ষা করা হয় । নার্কো টেস্টে বেশ কিছু ওষুধের ব্যবহারে মানুষের মস্তিষ্ককে খানিকক্ষণের জন্য অকেজো করে অবচেতন মনকে জাগ্রত করে তোলা হয় । সাধারণ জিজ্ঞাসাবাদে কেউ যদি তথ্য গোপন করে, তাহলে অবচেতন মনের দেওয়া তথ্য সত্যি বলে মনে করা হয় । ফলে, অনেক ক্ষেত্রেই তা তদন্তের কাজে লাগে । আফতাবের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি কাজে লাগানো হচ্ছে । এই পদ্ধতিতে ধৃতের জবানবন্দি আদালত না গ্রহণ করলেও অনেকসময় তা তদন্তে সাহায্য করে । আইনজীবীদের একাংশ জানাচ্ছেন, মামলার যা গতিপ্রকৃতি, তাতে দেখা যাচ্ছে, তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে যেতে পারে ।
দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকারের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে দিল্লি পুলিশ । এই মুহূর্তে তাঁদের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল শ্রদ্ধার শরীরের টুকরো অংশগুলি খুঁজে বের করা । ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত শরীরের ১৩টি টুকরো পাওয়া গিয়েছে । বেশিরভাগই হাড় । এখনও ,মাথা, ধড় কিংবা শরীরের অন্য কোনও অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি, যা দেখে শ্রদ্ধাকে সনাক্ত করা যেতে পারে । মেহরাউলি জঙ্গলে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ । কিন্তু, এত বড়, ঘন জঙ্গলে শরীরের টুকরো অংশগুলি খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন বলে জানাচ্ছে দিল্লি পুলিশ ।