একবিংশ শতকের চিরাচরিত গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে জীবনে ক্রমে নানা ধরনের অ্যাপের নির্ভরতা বেড়ে যাওয়ার ছবিটা নতুন কিছু না। সেই নির্ভরতার উপর ভিত্তি করেই দেশের নানা বড় শহরজুড়ে অ্যাপ ক্যাবের এত বৃদ্ধি। যেহেতু বৃদ্ধির প্রাবাল্য, সেই কারণেই অ্যাপ ক্যাবের চালকদের অধিকাংশের আচরণেও গতানুগতিক ট্যাক্সি চালকদের আচরণের ধারা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বেশিরভাগ সময়েই যে লোকেশনে যাত্রী যেতে চাইছেন, সেখানে হয় অ্যাপ চালক যেতে রাজি নন বলে ক্যানসেল করছেন অথবা তার জন্য অ্যাপে নির্ধারিত ভাড়ার থেকেও বেশি ভাড়া হাঁকছেন। খুবই পরিচিত চিত্র। কিছু বললেই, পেট্রোল-ডিজেলের বর্ধিত দাম থেকে শুরু করে ফেরার সময় ওই রুটে যাত্রী পাওয়া যাবে না পর্যন্ত নানা অজুহাত দেওয়া চলতেই থাকে।
লিঙ্কডইনে সম্প্রতি একটি পোস্ট ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মাত্র ১.৮ কিলোমিটার যাত্রাপথের জন্য উবার অ্যাপ চাইছে ৬৯৯ টাকা! যার স্ক্রিনশট তুলে লিঙ্কডইনে পোস্ট করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি লেখেন- 'আমি যদি স্টক মার্কেটে টাকা না রেখে উবারের এই আকাশছোঁয়া গাড়ি ভাড়ায় পয়সা ইনভেস্ট করতাম, তাহলে বোধহয় হর্ষদ মেহতাকেও ছাপিয়ে যেতাম!"
তিনি উবার, ওলা-র মতো অ্যাপগুলিকে তীব্র আক্রমণ করে আরও লেখেন- 'এই অ্যাপগুলি মানুষের সুবিধার কথা ভেবেই তো শুরু হয়েছিল। তাড়াতাড়ি সুনির্দিষ্ট স্থানে সহজে পৌঁছতে পারবেন বলে একটু বেশি টাকা দিয়েও এই অ্যাপ ব্যবহারে দ্বিধা করেন না লক্ষ-লক্ষ যাত্রী। কিন্তু, তার পরিণাম এই! তিনঘণ্টা ধরে একের পর এক রাইড ক্যানসেল করে এখন সর্বোচ্চ ধার্য দামের থেকেও ৩০০ শতাংশ বেশি টাকা চাইছেন এঁরা! মাত্র তিনফোঁটা বৃষ্টি হয়েছে গুরুগ্রামে। তাতে এই দশা! একবার শুধু ভাবুন!"
তাঁর কথায়, "এই অ্য়াপগুলো এবার ছাড়ুন। দরকারে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কারও থেকে লিফট নিয়ে নিন"।
তাঁর এই পোস্ট নিয় রীতিমতো সাড়া পড়ে যায়। প্রচুর শেয়ার হয়। পোস্টের তলায় নিজেদের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেছেন নেটিজেনরা।