ঠিক যেন রোমহর্ষক সিনেমার দৃশ্য। আত্মহত্যার(Suicide) আগে সতর্কবার্তা লিখে রাখা হয়েছে উদ্ধারকারীদের উদ্দেশ্যে। এমন সুইসাইড নোট(Suicide Note) দেখে আঁতকে উঠেছে পুলিশও। কতটা ঠান্ডা মাথায় এবং পরিকল্পিতভাবে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে পরিবারটি, ভেবেই স্তম্ভিত পুলিশ আধিকারিকরা।
ঘরে ঢুকেই পুলিশের চোখে পড়েছিল ডায়েরির কয়েকটি ছেঁড়া পাতায় লেখা— চরম বিষাক্ত গ্যাস… কার্বন মনোক্সাইড(Curbon Monoxide)। পরের লাইনে লেখা— ঘরে ঢুকে ভুলেও দেশলাই বা লাইটার জ্বালাবেন না। তার ঠিক কয়েক হাত দূরেই নিথর হয়ে পড়ে ছিলেন বছর পঞ্চাশের এক মহিলা এবং তাঁর দুই মেয়ে।
আরও পড়ুন- Monkey Virus Spreading: ১২ দেশে মাঙ্কি ভাইরাসে আক্রান্ত ৯২, সংক্রমণ আরও বাড়বে জানাল ‘হু’
ঘুটঘুটে অন্ধকার ঘরের ভিতরটা। জানলা দিয়ে যাতে আলো, হাওয়া না ঢোকে তার জন্য সব জানলা মোটা প্লাস্টিকে(Thick Plastic Cover) ঢাকা। ঘরে অক্সিজেন ঢোকার কোনও উপায় ছিল না। একেবারে নিশ্চিদ্র অন্ধকূপে পরিণত করে ফেলা হয়েছিল গোটা ঘর। ভিতরে তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসার জোগাড়। গোটা ঘর যেন একটা গ্যাস চেম্বার।
রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডারের(Gas Cylinder) নব খোলা। সেখান থেকে তখনও গ্যাস বেরোচ্ছিল। ঘরে ঢুকেই যাতে কেউ বিপদে না পড়েন, তাই দরজার কাছেই রাখা ছিল সুইসাইড নোট।
জানা গেছে, ওই মহিলার নাম মঞ্জু। তাঁর দুই মেয়ে অংশিকা এবং অঙ্কু। দিল্লির বসন্ত বিহারের(Basant Bihar Suicide Case) বাসিন্দা তাঁরা। স্থানীয়রা মঞ্জুদের সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেন।মঞ্জুর স্বামী গত বছরের এপ্রিলে কোভিডে মারা যান। তারপর থেকেই পরিবারটি মানসিক অবসাদে ভুগছিল বলে দাবি স্থানীয়দের। তবে তিনজনের আত্মহত্যার পেছনে অন্য কোনও রহস্য আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ(Delhi Police)।