এবারও ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে দলে নেওয়ার চেষ্টা বৃথাই থেকে গেল কংগ্রেসের কাছে। মঙ্গলবার কংগ্রেসের দেওয়া প্রস্তাব নিজেই ফিরিয়ে দিলেন পিকে। টুইট করে জানালেন, কংগ্রেসে যোগদান এবং ভোটের দায়িত্ব উদাত্ত আহ্বান তিনি প্রত্যাখ্যান করলেন। তাঁর বিনীত মতামত, গঠনমূলক সংস্কারের মাধ্যমে অন্তর্নিহিত কাঠামোগত সমস্যার সমাধানের জন্য তাঁর চেয়েও বেশি দলের প্রয়োজন নেতৃত্ব এবং সম্মিলিত সদিচ্ছার।
গত কয়েকদিন ধরেই প্রশান্ত কিশোরকে কংগ্রেসে টানতে মরিয়া ছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। বিশেষ করে গতবার বাংলায় বিধানসভা ফলের পর প্রশান্ত কিশোর সম্পর্কে কংগ্রেস আগ্রহ দ্বিগুণ করেছিল। কিন্তু সনিয়ার প্রস্তাব কার্যত সেইসময় ফিরিয়ে দিয়েছিলেন পিকে। বরং তিনি চেয়েছিলেন পরামর্শদাতা হিসাবেই কাজ করতে। তা ছাড়া, পিকে সবসময়েই ‘স্বাধীন’ ভাবে কাজ করতে আগ্রহী। তাঁকে কোনও দায়িত্বের মধ্যে আটকে দেওয়াটাও এই ভোটকুশলীর মনোমত নয়। সেই যুক্তিতেই তিনি কংগ্রেসের আহ্বানে সাড়া দিলেন না বলে ধারনা রাজনৈতিক মহলের।
এর মধ্যেই সোমবার টিআরএসের সঙ্গে পিকে-র চুক্তি হয়ে যায়। ফলে তাঁর পক্ষে কংগ্রেসকে বারণ করে দেওয়াটা আরও সোজা হয়ে যায় বলেই তাঁর ঘনিষ্ঠদের দাবি। পাশাপাশিই, তাঁর ঘনিষ্ঠদের একাংশ এমনও দাবি করছেন যে, পিকে বরাবর ‘কিংমেকার’ হতে চেয়েছেন। নিজে ‘রাজা’ হতে চাননি। পাশাপাশিই, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি থেকে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ঘটনাও বেড়ে চলেছে। রিপন বরা এবং মুকুল সাংমার মতো নেতা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। মুকুলের দাবি, অদূর ভবিষ্যতে কংগ্রেসের আরও নেতা তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে পিকে কংগ্রেসে যোগ দিলে তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের ‘সমীকরণ’ নিয়েও জটিলতা তৈরি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। পিকে সেটিও এড়াতে চেয়েছিলেন বলেই তাঁর ঘনিষ্ঠদের দাবি।