দেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। ভারতের সংসদীয় ইতিহাসে তিনিই প্রথম আদিবাসী প্রার্থী হিসেবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন। এখন থেকে তাঁর স্থায়ী ঠিকানা দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবন।
রাষ্ট্রপতির বাসভবন
কোনও দেশের সাংবিধানিক প্রধানের বাসভবন হিসাবে দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনই বিশ্বের বৃহত্তম। এই ঐতিহাসিক ভবনে চারটি তলা মিলিয়ে ৩৪০টি ঘর রয়েছে। আড়াই কিলোমিটার করিডর এবং ১৯০ একর জমির উপরে রয়েছে বাগান। রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের পাঁচ জন কর্মী ছাড়াও রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রায় দু’শো জন কর্মী রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করেন। এছাড়াও রাষ্ট্রপতির থাকার জন্য হায়দরাবাদে রয়েছে বিলাসবহুল ভবন ‘রাষ্ট্রপতি নিলয়ম’। ছুটি কাটানোর জন্য সিমলায় রয়েছে রিট্রিট বিল্ডিং।
রাষ্ট্রপতির বেতন ও অন্যান্য সুবিধা
রাষ্ট্রপতি বেতন পান মাসিক ৫ লাখ টাকা। ২০১৭ সাল পর্যন্ত এর পরিমাণ ছিল দেড় লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় সরকার সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকরের পরে রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপালদেরও বেতন বাড়ায়। বেতন ছাড়াও ভারতের রাষ্ট্রপতিরা সারা জীবন বিনা খরচে চিকিৎসার সুযোগ পান। দেশের রাষ্ট্রপতির ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ থাকে কালো রঙের একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ। এছাড়াও তাঁর ব্যবহারের জন্য থাকে একটি লিমুজিনও। রাষ্ট্রপতি এবং তাঁর স্ত্রী বা স্বামী বিশ্বের যে কোনও দেশে বিনা খরচে ঘুরতে যেতে পারেন।
রাষ্ট্রপতির পেনশন ও অন্যান্য সুবিধা
অবসরের পরে রাষ্ট্রপতিরা পান মাসে দেড় লাখ টাকা। অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির স্বামী বা স্ত্রী মাসে পান ৩০ হাজার টাকা। অবসরের পরে থাকার জন্য বিনা খরচে আসবাবপত্র-সহ একটি সরকারি বাংলো পান রাষ্ট্রপতি। দু’টি ল্যান্ডলাইন ও একটি মোবাইল ফোনও বিনা খরচে ব্যবহার করতে পারেন আজীবন। অবসরের পরে প্রয়োজনীয় কর্মীদের বেতন বাবদ বছরে আরও ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতিকে। একজন সঙ্গী নিয়ে অবসরের পরেও রাষ্ট্রপতিরা বিমান বা ট্রেনে বিনা খরচে ভ্রমণ করতে পারেন।