সিলেবাসের সংস্কারে নেমেছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল। সেই সংস্কারের অংশ হিসাবেই সিলেবাসে বড় রদবদল করতে গিয়ে কোপ পড়ল পাকিস্তানের জাতীয় কবি তথা 'সারে জাহাঁ সে আচ্ছা'-র রচয়িতা মহম্মদ ইকবালের জীবনীর ওপর। শুক্রবার স্নাতক স্তরের রাষ্ট্রবিজ্ঞান সিলেবাস থেকে পাকিস্তানের জাতীয় কবি ইকবালের জীবনী বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্য়াকাডেমিক কাউন্সিল।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের স্নাতক স্তরে ষষ্ঠ পেপারে 'মডার্ন ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল থট' শিরোনামের অধ্যায়টিতে ইকবালের প্রসঙ্গ রয়েছে। পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের একটি বৈঠক বসে। সেই বৈঠকে ইকবালের প্রসঙ্গ বাদ দেওয়ার ব্যাপারে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যোগেশ সিং মুখ খুললেন। ইকবালকে ‘ভারত ভাঙার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকারীদের অন্যতম’ বলে বর্ণনা করতে দেখা গেল তাঁকে। জানা গিয়েছে, বৈঠকে তিনিই ইকবালকে সরানোর প্রস্তাব পেশ করেন।
আগামী ৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ম-সমিতির মিটিং রয়েছে। সেখান থেকে সবুজ সংকেত মিললেই প্রস্তাবটি কার্যকরী হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে।