২০২১-২২ অর্থবর্ষে কমতে চলেছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (Epfo)-এর সুদের পরিমাণ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই (Pti) সূত্রে খবর, সাড়ে ৮ শতাংশ থেকে কমে সুদের পরিমাণ হতে চলেছে ৮.১ শতাংশ। ফলে মধ্যবিত্তের (Middle class) সঞ্চয়ে কোপ পড়তে চলেছে। খুব শীঘ্রই অর্থ মন্ত্রকের কাছে ইপিএফ কমিটি এই প্রস্তাব দিতে চলেছে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে হু হু করে। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে বেকারত্বের হার। সেই পরিস্থিতিতেই মধ্যবিত্তের উপর এ বার ইপিএফ খাঁড়া নেমে এল। গত ১০ বছরে সর্বনিম্নে গিয়ে ঠেকল ইপিএফ বাবদ সুদের হার। এত দিন ইপিএফ থেকে ৮.৫ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যেত, এ বার তা কমিয়ে ৮.১ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দিল্লিসূত্রে খবর। ২০২১-’২২ অর্থবর্ষের জন্য কমল সুদের হার।
মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে এমনিতেই নাজেহাল দেশ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে পতন অব্যাহত শেয়ার বাজারেও। বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারেও পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় ইপিএফ-এর সুদ কমায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে মধ্যবিত্ত। ১৯৭৭-৭৮ সালের পর এত নীচে নামেনি ইপিএফ-এর সুদের হার। ওই সময় সুদের পরিমাণ ছিল ৮ শতাংশ।
এর আগে, গত বছর মার্চ মাসে ২০২০-'২১ অর্থবর্ষের জন্য এপিএফ-এর সুদের হার ৮.৫ শতাংশ করার সুপারিশ করে ইপিএফও বোর্ড। সেই থেকে আরও কমল সুদের হার। কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকে সিবিটি-র নেতৃত্বে রয়েছেন। কর্মী এবং মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরাদের তরফেও সুপারিশ রাখা হয়। তার পর তাতে সিলমোহর দেয় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। বর্তমানে দেশের ৫ কোটি মানুষ ইপিএফ-এর আওতায় রয়েছেন। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে তাঁদের জীবনে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছএন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে এটা ভোটের প্রভাব ছাড়া আর কিছু নয়।