বিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েও পরে বিয়ে না করা মানেই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া নয়, এবং সেক্ষেত্রে বিয়ের আগের শারীরিক সম্পর্ক হলে তা ধর্ষণ নয়, জানিয়ে দিল দেশের শীর্ষ আদালত।
বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কের ফলে জন্ম হয়েছিল সন্তানের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিয়ে হয়নি৷ সঙ্গীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ করেন মহিলা। এর ভিত্তিতে অভিযুক্তকে সাজাও দেয় আদালত।কিন্তু নিম্ন আদালতের সেই রায় বাতিল করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অজয় রস্তোগি এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চে জানাল, বিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েও পরে বিয়ে না করা মানেই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া নয়। এমন হতেই পারে, প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সময় বিয়ে করতেই চেয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু পরে পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে করতে পারেননি।
অভিযুক্তকে সাজা দিয়েছিল দিল্লি হাই কোর্টের এবং এক একটি নিম্ন আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। মামলাটি উঠেছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অজয় রস্তোগি এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চে। মামলায় ধর্ষণের অভিযোগকারিণীর উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। শীর্ষ আদালত বলেছে, ওই মহিলা নিজেই বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তিনি নিজেই পরিবারের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
মামলাটি দায়ের হয় ২০১৫ সালে৷ তবে ঘটনার সূত্রপাত কয়েক বছর আগে। তিন সন্তানের জননী ওই বিবাহিত মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক হয় এক প্রতিবেশীর। ২০১১ সালে তার সন্তানের জন্ম দেন অভিযোগকারিণী। ২০১২ সালে সঙ্গীর সঙ্গে তাঁর বাড়িতে গিয়ে ওই মহিলা জানতে পারেন, তিনিও বিবাহিত। এরপর ২০১৪ সালে অভিযোগকারিণী তাঁর স্বামীর থেকে পরস্পরের সম্মতিক্রমে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ২০১৫ সালে সঙ্গীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন তিনি।