কখনও শুনেছেন এই ভদ্রলোকের নাম ? কী করেছেন তিনি ? যার জন্য এত চর্চা তাঁকে নিয়ে। পেশায় আইনজীবী ফৈয়জান এখন টক অব দ্য টাউন। কারণ, এই ভদ্রলোকের একটি ফোনেই কার্যত হেলে গিয়েছিল মন্নতের অন্দর। জন্মদিনের পার্টির হ্যাংওভার কাটিয়ে রাত দুপুরে স্বয়ং বাদশাকে ছুটতে হয়েছিল বান্দ্রা থানায়। দায়ের করতে হয়েছিল হুমকির অভিযোগ।
তদন্তে মুম্বই পুলিশ দাবি করেছে মাত্র ৫০ লক্ষ টাকা। ছত্তীশগড়ের রাজধানী রায়পুরে যে নম্বর থেকে বাদশাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, তা ট্রেস করে সেখানে গিয়েছিল মুম্বই পুলিশের একটি দল। সন্ধানও পেয়েছিল ফৈয়জানের। তদন্তকারীদের দাবি, গত কয়েকদিন কথার প্যাঁচে তাঁদের বিব্রত করেছেন পেশায় আইনজীবী ফৈয়জান।
প্রথমে দাবি করেছিলেন, শাহরুখের জন্মদিনের দিনেই নাকি তাঁর ফোন হারিয়ে গিয়েছিল। হতে পারে তাঁর অজান্তে কেউ সেই ফোন থেকে হুমকি দিয়েছিলেন বাদশাকে। পুলিশের কাছে ফোন হারানোর নথিও জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু কথায় কথা বেড়েছে। আর সেই প্যাঁচে এবার নিজেই আটকে গিয়েছেন আইনজীবী।
এখানেই শেষ নয়। তদন্তের স্বার্থে এই আইনজীবীকে গত দু দিনে দুবার তলব করেছিল মুম্বই পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশের তলব এড়াতেই রায়পুরের বাড়িতে গিয়ে গ্রেফতার করা হয় এই আইনজীবীকে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের হুমকি দিয়ে টাকা তোলা এবং অপরাধমূলক চক্রান্তের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বলিউড বাদশা শাহরুখ খানকে হুমকি দেওয়া অভিযোগে অবশেষে রায়পুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মহম্মদ ফৈয়জান খানকে। স্রেফ হুমকি দিতেই ফোন, নাকি এর পিছনে ছিল অন্য কোনও ছক। বিস্তারিত জানতেই ওই ব্যক্তিকে মুম্বই আনা হয়েছে।
মুম্বই পুলিশ দাবি করেছে বাবা সিদ্দিকি খুনে প্রথমে শিবকুমার তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শাহরুখকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার ফৈয়জান। এই দুয়ের মধ্যে কোনও সম্পর্ক আছে কীনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। খতিয়ে দেখা হবে, ধৃতদের সঙ্গে লরেন্স গ্যাংয়ের সম্পর্কের দিকটিও।
এসবের মধ্যেই বদলে যাচ্ছে শাহরুখ খানের জীবন। আর ঘেরাটোপের মধ্যে চলে যাচ্ছেন তিনি। দেওয়া হচ্ছে ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা। আগে দু জন সশস্ত্র পুলিশ থাকতেন তাঁর পাশে। এবার পাঠানকে ঘিরে থাকবেন হাফ ডজন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী।