রবিবার রাতে বাম ও বিজেপি ছাত্র সংগঠনের সংঘর্ষে উত্তাল হয় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (JNU clash)। আহত হয়েছেন ৬ পড়ুয়া। জেএনইউ'র কাবেরী হোস্টেলের (Clash at JNU hostel) মেসের সেক্রেটারিকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এবিভিপি'র (ABVP) 'অজ্ঞাতপরিচয়' সদস্যদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) ৩২৩, ৩৪১, ৫০৬, ৫০৯ এবং ৩৪ নং ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এবিভিপি'র ছাত্ররাও থানায় এফআইআর করবেন। সোমবার বাম ছাত্র সংগঠনের নেতারা দিল্লি পুলিশের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাবেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: কার্ড ছাড়া নগদ তোলার সুবিধা পাওয়া যাবে সব এটিএমে, জেনে নিন কীভাবে টাকা তুলবেন
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) কাবেরী হোস্টেলে (Cauvery Hostel)। এবিভিপি প্রভাবিত পড়ুয়াদের একাংশ রামনবমী পালনের আয়োজন করেছিলেন। তবে মেস কমিটির পক্ষ থেকে অন্য দিনের মতোই খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। অভিযোগ, তাতে ক্ষুব্ধ হন এবিভিপির সমর্থকেরা। এসএফআই, আইসা-সহ বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি এবিভিপি-র বিরুদ্ধে আমিষ খাবার পরিবেশনে বাধা দেওয়া এবং মেস সেক্রেটারিকে নিগ্রহের অভিযোগ তুলেছে। পাল্টা বামেদের বিরুদ্ধে রামনবমীর (Ram Navami) প্রার্থনায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP)।
বামপন্থী পড়ুয়াদের দাবি, এবিভিপির (ABVP) প্রহারে ৫০-৬০ জন ছাত্রছাত্রী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ছাত্র সংসদের প্রাক্তন নেতা এন সাই বালাজিও রয়েছেন। জেএনইউ ছাত্র সংসদের নেত্রী ঐশী ঘোষের দাবি, অনেকের মাথা ফেটে গিয়েছে, হাতও ভেঙেছে একাধিক জনের।
অন্যদিকে, জেএনইউ-এর এবিভিপি সংগঠনের সভাপতি রোহিত কুমার জানান, আমিষ নিয়ে কোনও গণ্ডগোল হয়নি। রামনবমীর প্রার্থনায় বামেরা বাধা দিয়েছেন। তা নিয়েই শুরু হয় গোলমাল। এই ঘটনায় রবি রাজ নামে এক এবিভিপি সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন বলে দাবি।