আশঙ্কা সত্যি করে কালীপুজোর আগের রাত থেকেই রীতিমতো দাপট দেখাতে শুরু করল শব্দবাজি। কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যেই দেদারে বাজি ফেটেছে বলে অভিযোগ। সঙ্গে রমরমা ছিল আতসবাজিরও। কালীপুজোর আগের রাতেই যদি বাজি-চিত্রটি এমন হয়, তাহলে কালীপুজোর রাতে কী পরিস্থিতি হবে তাই ভেবে শিউড়ে উঠছেন পরিবেশকর্মীরা।
পরিবেশকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, শব্দবাজির দাপাদাপির নেপথ্যে কিছুটা ভূমিকা রয়েছে সরকারের একটি নির্দেশিকার। দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গে সর্বোচ্চ ৯০ ডেসিবেলের বাজি ছাড়পত্র পেত। কিন্তু এই বছর রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ যে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে, তাতে শব্দবাজি সর্বোচ্চ ১২৫ ডেসিবেল মাত্রা পর্যন্ত বিক্রি হতে পারবে। আতশবাজির ক্ষেত্রে তা সর্বোচ্চ ৯০ ডেসিবেল। যদিও একই সঙ্গে নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী একমাত্র সবুজ বাজি বা পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরি করা, বিক্রি এবং ফাটানো যাবে।
Babar Azam: বিশ্বকাপে ভরাডুবির দায় নিয়ে দায়িত্ব ছাড়বেন? মুখ খুললেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম
পরিবেশকর্মীদের একাংশের অভিযোগ, এই রাজ্যে পরিবেশবান্ধব সবুজ বাজি তৈরি হয় না বললেই চলে৷ এতদিন লুকিয়ে চকোলেট বোমা ফাটানো হত, ডেসিবেলের মাত্রায় ছাড় বাড়ানোয় এই বছর লুকোছাপা আরওই কম।
যদিও এই বিষয়ে রাজ্য পরিবেশ দফতর এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের যুক্তি, সুপ্রিম কোর্ট সবুজ বাজির ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট শব্দমাত্রা বেঁধে দেয়নি। তাই এ ক্ষেত্রে গোটা দেশে যে শব্দমাত্রা আছে সেটি মেনে নেওয়া হয়েছে। তবে তাতে আর চিঁড়ে ভিজছে কই! শবব্দদানবের তাণ্ডবে সাধারণের অবস্থা শোচনীয়।