জেলেই থাকবেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক জি এন সাইবাবা। শনিবার এমনই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। বোম্বে হাই কোর্টের নির্দেশকে খারিজ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। শুক্রবার তাঁকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয় বম্বে হাই কোর্ট।
আগামী ৮ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।শ নিবার ছুটির দিনে বিশেষ শুনানি বসে সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি এম আর শাহ ও বেলা এম ত্রিবেদির বেঞ্চে এই মামলা ওঠে। বিশেষ ভাবে সক্ষম জিএন সাইবাবা। এদিন সুপ্রিম কোর্টে তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতার দরুণ জি এন সাইবাবাকে হুইল চেয়ার ব্যবহার করতে হয়। তাঁর মক্কেল ৯০ শতাংশ শারীরিক ভাবে অক্ষম। শরীরে একাধিক সমস্যা আছে। আদালতের কাছে আবেদন করেন, তাঁকে যেন হাউজ অ্য়ারেস্ট করা হয়। যদিও তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি এম আর শাহ জানান, সন্ত্রাসবাদ ও নক্সাল আন্দোলন চালাতে শরীরের থেকেও মস্তিষ্কের কাজ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: বৈঠকে অপমানিত হয়েছেন সৌরভ! বিতর্কের মাঝেই মুখ খুললেন BCCI কোষাধক্ষ্য অরুণ ধুমল
২০১৭-র মার্চে মহারাষ্ট্রের গাড়চিরোলি সেশন আদালত সাইবাবা, এক সাংবাদিক, এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া সহ আরও কয়েকজনকে মাওবাদী যোগ এবং রাষ্ট্রদ্রোহী কার্যকলাপে মদতের অভিযোগের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধিরএবং ইউএপিএ -র আওতায় একাধিক মামলা দায়ের হয়। শুক্রবার জিএন সাইবাবাকে জামিনের নির্দেশ দেয় বোম্বে হাই কোর্ট। এরপরই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে মহারাষ্ট্র সরকার। শনিবার এই মামলার বিশেষ শুনানি হয়। ২০১৪ সালে গ্রেফতার করা হয় সাইবাবাকে। নাগপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি তিনি।