রাষ্ট্রপতি নির্বাচন মিটতেই এবার ব্যাপক ক্রস ভোটিংয়ের অভিযোগে সরগরম দেশের রাজনীতি। এনডিএ শিবিরের দাবি, বিরোধী শিবিরের অনেক সাংসদ-বিধায়কই এনডিএ-র দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দিয়েছেন। তাঁদের এই দাবি যে একবারে ভুল নয়, তা বলছে পরিসংখ্যান। এই দাবির স্বপক্ষে বিজেপির একটি সূত্র বলছে, বিভিন্ন বিধানসভার প্রায় ১২৫ জন বিধায়ক দ্রৌপদীর সমর্থনে ভোট দিয়েছেন। ভোটের গণনার গতিপ্রকৃতি দেখে বিজেপির দাবি, ১৭ জন সাংসদের ক্রস ভোটিংয়ে লাভবান হয়েছেন দ্রৌপদী। উল্লেখ্য, বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে বিপুল ভোটে পর্যুদস্ত করেন এনডিএ শিবিরের এই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী।
জানা গিয়েছে, অসম, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় বিরোধী শিবিরের একাধিক বিধায়ক নিজেদের দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে গিয়েই দ্রৌপদীকে ভোট গিয়েছেন। সূত্রের দাবি, অসমের প্রায় ২২ বিধায়ক, মধ্যপ্রদেশের ২০ জন, বিহার ও ছত্তীসগঢ়ের ছয় বিরোধী বিধায়ক, গোয়ার ৪ ও গুজরাতের ১০ বিধায়ক ক্রস ভোট দিয়ে থাকতে পারেন।
বৃহস্পতিবার ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় ভোটমূল্য পেয়ে যান দ্রৌপদী। গণনা শেষে দেখা যায়, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ৬৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন তিনি। রাষ্ট্রপতি হিসাবে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ভোটমূল্য ছিল ৫,৪০,৯৯৬। দ্রৌপদী তৃতীয় রাউন্ড গণনার পরেই পেয়ে যান ৫,৭৭,৭৭৭ মূল্যের ভোট। উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ভোট পেয়েছেন দ্রৌপদী।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধি দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী করে কৌশলী চাল চালেন মোদি-শাহ। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রপতি ভোটে প্রার্থী বাছাই নিয়ে জোটবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করেছিল বিরোধী শিবির। টালবাহানার পর ঐকমত্যের ভিত্তিতে বিরোধী শিবির থেকে যশবন্ত সিন্হাকে প্রার্থীও করা হয়। কিন্তু তারপরই এনডিএ প্রার্থী হিসাবে দ্রৌপদীকে তুলে ধরায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সমর্থন নিয়ে অনেক বিরোধী নেতাই দোটানায় পড়ে যান বলে বিরোধী শিবিরের একাংশের ধারণা।