কুর্সি বাঁচানোর বাজেট। তৃতীয় মোদী সরকারের বাজেটেকে এই ভাবেই কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। বাজেট শেষের পরেই মঙ্গলবার তাদের দাবি ছিল, এর জবাব সংসদের ভিতরে সরকারকে দিতে হবে। কথা মতো বুধবারই তারা ময়দানে নেমে পড়ল। এদিন সংসদ শুরুর আগে বিক্ষোভ দেখাল ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা। বিক্ষোভে হাজির ছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী-সহ তৃণমূল এবং সমাজবাদী পার্টির উভয়কক্ষের সাংসদরা। বিক্ষোভে সামিল হন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীও।
এই বাজেটে কোনও আলো নেই। শুধুই অন্ধকার। মঙ্গলবার এই অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, শরিক স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে বাংলা-সহ গোটা দেশকে বঞ্চিত করেছে মোদী সরকার। সামাজিক সুরক্ষা নিয়ে বাজেট ভাষণে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যে দাবি করেছেন, তা-ও কার্যত মিথ্যা বলেই অভিযোগ মমতার।
তৃণমূল নেত্রীর সেই সুর এদিন দিল্লির ময়দানে শোনা গিয়েছে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে থেকে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের গলাতেও। সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাজেট দেখে মনে হচ্ছে বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশে দেশের দুই রাজ্য, বাকিরা যেন বাণের জলে ভেসে গিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে এই মাসের শেষেই হয়তো দিল্লি যেতে পারেন তৃণমূল নেত্রী ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার বকেয়া নিয়ে এই সফরে তিনি বৈঠক করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। সরকারি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সময় চেয়ে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৬ তারিখ তাঁদের বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।