সামনেই পুজো। অনেকেই বেড়াতে যাবেন বলে পরিকল্পনা করে ফেলেছেন। কিন্তু রেলের টিকিট কোথায় ? কারণ, অনেক আগে থেকেই তা শেষ হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রেলের অন্দর থেকেই অভিযোগ উঠেছে, এমারজেন্সি কোটার অপব্যবহারের।
এই অভিযোগকে বেশ গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে বলে খবর। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার থেকে এমারজেন্সি কোটার টিকিট কনফার্ম করতে হলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের সঙ্গে যাত্রীর সম্পর্কের তথ্য জানতে হবে।
আরও পড়ুন : যথেষ্ট যাত্রী না হলে এবার থেকে 'রিজার্ভ' কামরা হয়ে যাবে 'জেনারেল', নয়া সিদ্ধান্ত রেলের
রেল কর্তাদের দাবি, যে কোনও উৎসবের মরশুমে রেলের টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে ওঠে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগায় কালোবাজারিরা। মোটা টাকার বিনিময়ে তারা গ্রাহকদের টিকিট রেলের ভিতর থেকেই কনফার্ম করিয়ে নেয়। এমনকী এই ক্ষেত্রে মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদদের সই জাল করা হয় বলেও দাবি রেলের একাংশের।
রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কোটার মাধ্যমে যে বেআইনি কাজ হয়, তা বলাই বাহুল্য। আবার অনেক সময় বিভিন্ন মহল থেকে এমন সুপারিশ আসে, যা অস্বীকার করা যায় না।
তবে প্রাচীন এই পদ্ধতি এবার বন্ধ করতে চায় রেল। আর সেই কারণেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এমারজেন্সি কোটায় টিকিট কনফার্ম করতে হলে দু তরফের সম্পর্কের কথাই সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানাতে হবে।