বাংলাদেশের জেল থেকে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাল দিল্লি। ইউনুস সরকারের জমানায় বাংলাদেশের মাটিতে সংখ্যালুঘদের উপর অত্যাচার নিয়ে এই প্রথম কড়া প্রতিক্রিয়া বিদেশমন্ত্রকের। এক বার্তায় বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের ঘটনাকে দিল্লি উদ্বেগের সঙ্গে দেখছে। কারণ, তিনি বাংলাদেশে সম্মিলিত সনাতন জাগরণ মঞ্চের প্রধান মুখ।
ঢাকায় সরকারের পরিবর্তনের পরেই ইসনুস সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দেশের সংখ্যালঘুদের স্বার্থরক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এদিনের বিবৃতিতে সেই সেই কথাও উল্লেখ করেছে দিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের অভিযোগ, বাংলাদেশ ক্রমাগত মৌলবাদীদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছে। যার জেরে, সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর ক্রমশ অত্যাচার বাড়ছে। এই ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের তীব্র নিন্দা করছে ইসকনও।
সোমবার বাংলাদেশের চট্টগ্রামে গ্রেফতার করা হয়েছে নিপীড়িত হিন্দুদের প্রতিনিধি ইসকনের এই সন্ন্যাসীকে। এদিন তাঁকে চট্টগ্রামের আদালতে পেশ করা হয়েছিল। বিক্ষোভের জেরে তাঁকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা প্রিজন ভ্যানেই বসে থাকতে হয়। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা দায়ের করেছে ইউনুস সরকার। প্রতিবাদে আদালতের সামনেই শুরু হয় বিক্ষোভ। ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার পথে নামছে বিজেপি।
বাংলাদেশের জেল থেকে ইসকনের এই সন্ন্যাসীর মুক্তির দাবিতে প্রথম থেকে সরব হন বাংলার বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজনৈতিক মহলের মতে, মূলত তাঁর চাপেই বাংলাদেশের এই ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিতে হল বিদেশমন্ত্রককে। যদিও দিল্লির দাবি কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা। আপাতত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে ইসকনের ধৃত সন্ন্যাসীকে।