ছাত্রমৃত্যুকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন ধরেই সংবাদ শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) । বুধবার সন্ধেবেলায় আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠল যাদবপুর । না, এবার কোনও দুর্ঘটনা নয়, বিতর্ক নয়, এল খুশির খবর, গর্ব করার মতো খবর ।
জানা গেল, ‘ইসরো’র চন্দ্রযান-৩-এর (Chandryaan-3) ল্যান্ডার বিক্রমের সফল অবতরণে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের । ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক অমিতাভ গুপ্ত এবং ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক সায়ন চট্টোপাধ্যায় ও আরও কয়েকজন গবেষক এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে খবর ।
জানা গিয়েছে, ল্যান্ডারের সফট ল্যান্জিংয়ে ইসরোর সহযোগীর ভূমিকায় ছিল দেশের কয়েকটি প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেই তালিকার অন্যতম নাম যাদবপুর । ইসরোতে ‘রেসপন্ড’ প্রকল্পের মাধ্যমে আবেদন জানানো হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। সেই আবেদন গৃহীত হয় ।
আরও পড়ুন, Chandrayaan 3: চাঁদের মাটিতে ভারতের চন্দ্রযানের অবতরণের নেপথ্যে কোন কোন মহিলা বৈজ্ঞানিক ছিলেন জানেন?
অমিতাভ জানিয়েছেন, এবার 'বিক্রম'-এ একাধিক ‘থ্রাস্টার’ ছিল। তার সাহায্যেই পালকের মতো চাঁদের মাটিতে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান-৩ । তিনি জানিয়েছেন, রিয়েল টাইম সিমুলেশন তৈরি করেছেন তিনি ও তাঁর সহকারী গবেষকরা । ২০১৯ সাল থেকে কাজ শুরু করেছিলেন তাঁরা । ২০২২-এর জুলাই মাসে তা শেষ হয় ।
অন্যদিকে, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক সায়ন চট্টোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন । সায়ন জানাচ্ছেন, তিনি ইমেজিং-এর দায়িত্বে ছিলেন । তিনি জানিয়েছেন, অবতরণস্থলের আশপাশের অঞ্চলের বহু ছবি সংগ্রহ করা হয় । যাতে চন্দ্রযানটি অবতরণস্থল থেকে সরে গেলেও বোঝা যায় । তাঁদের এই সাফল্যে গর্বিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । শত বিতর্কের মধ্যেও কোথাও যেন একটু হলেও স্বস্তি দিচ্ছে এই খবর ।