গত কয়েক বছরে কংগ্রেসের (Congress) অন্দরে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে অনাস্থা দেখালেও কংগ্রেস ছাড়ার কথা ভাবেননি বিক্ষুব্ধ নেতারা। কিন্তু রাজীবের (Rajiv Gandhi) হাত ধরে কংগ্রেসে আসা কপিল সিব্বল (Kapil Sibal) সেই কাজটাই করে দেখালেন। শুধু কংগ্রেস ছাড়লেন না, সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) হয়ে ফের রাজ্যসভায় (Rajya Shabha) মনোনয়ন জমা দিলেন পেশায় সুপ্রিম কোর্টের (Suprem Court) আইনজীবী ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী (Former Central Minister) কপিল সিবাল। অখিলেশ (Akhilesh Yadav), রামগোপালকে পাশে নিয়ে রাজ্যসভার মনোনয়ন পেশের পর কপিল জানান, তিনি বরাবরই মোদীবিরোধী কথা বলে এসেছেন। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) সঙ্গে তাঁর বহুদিনের সম্পর্ক। আশা করছেন, একই ভূমিকায় এসপির হয়েও সংসদে আওয়াজ তুলতে পারবন।
কংগ্রেসের হয়ে তাঁর রাজ্যসভায় মেয়াদ অবশ্য শেষ হয়েই আসছিল। তাই রাজনৈতিক মহলে সিব্বলকে ঘিরে একটা সংশয় তৈরি হয়েছিল। সুবক্তা কপিলকে কী আর রাজ্যসভায় পাঠাবে কংগ্রেস ? এই প্রশ্নে কংগ্রেস উত্তর দেওয়ার আগে সিব্বলই জবাব দিয়ে দিলেন। কংগ্রেসে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতাদের কাছে তিনি দাবি করেছেন, গত ১৬ মে তিনি কংগ্রেস ছেড়েছেন।
আরও পড়ুন : 'গোর্খা জাতির জন্য আমার সব চলে গিয়েছে আমরণ অনশনে বসে বললেন বিমল গুরুং
মনমোহন সিং জমানায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন। রাজ্যসভায় মোদী সরকারের দিকে তীক্ষ্ণ আক্রমণ শানানোর ব্যাপারে প্রথম সারিতে ছিলেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি কংগ্রেসের বর্তমান নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর মতের অমিল হয়। কংগ্রেসের পরিচালন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। সেই সময় থেকেই গান্ধীদের সঙ্গে তাঁর দূরত্বের শুরু। সম্প্রতি জয়পুরে চিন্তন শিবির শেষে বিক্ষুব্ধ শিবিরের দুই নেতা আনন্দ শর্মা ও গুলাম নবি আজাদকে গুরুত্ব দেওয়া হলেও, কংগ্রেসে কপিল ‘উপেক্ষিত’ই থেকে যান বলে মনে করেছিলেন পর্যবেক্ষকরা। এ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, তিন দিনের চিন্তন শিবির শেষ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি কংগ্রেস ছাড়েন।