আরজি কর কাণ্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি। সোমবার গোটা দেশের নজর ছিল এই মামলায়। সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বাল সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন, আরজি কর কাণ্ডে রাজ্যজুড়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে রাজ্যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরজি কর মামলা নিয়ে প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়েছে দেশজুড়ে। কলকাতায় শনি ও রবিবার দিনভর প্রতিবাদ মিছিল হয়। এদিন বিচারপতিরা রাজ্যের কাছে জানতে চান, সেদিন এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মামলা কখন যুক্ত হয়। রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়। দুপুর ২টো ৫৫ মিনিটে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা যুক্ত করা হয়েছিল। থানায় জেনারেল ডায়েরি কখন করা হয়েছিল, তাও জানতে চায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। রাজ্য জানায়, জেনারেল ডায়েরি ওই একই সময়, অর্থাৎ, ২টো ৫৫ মিনিটেই করা হয়েছিল।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সঠিকভাবে হয়েছিল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ময়নাতদন্তের সময় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সন্দেহ হলে, তাঁর কাছে রিপোর্ট চাওয়া হোক। সিবিআই জানিয়েছে, ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়ে তাঁদেরও প্রশ্ন রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সেটি এমসে পাঠাতে চেয়েছে।
সিবিআইয়ের স্ট্যাটাস রিপোর্ট পড়ার পর ঘটনাস্থলে কখন তল্লাশি ও বাজেয়াপ্ত করা হয়, তাও জানতে চান প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। জবাবে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, রাত সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ১১টার পর্যন্ত তল্লাশি ও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনকে কেন্দ্র করে তোলপাড় বাংলা। এক মাস ধরে কর্মবিরতিতে শামিল জুনিয়র চিকিৎসকরা। এরই মধ্যে কোন্নগরের বাসিন্দা বিক্রম ভট্টাচার্যের মৃত্যু হয়। চিকিৎসার গাফিলতি অভিযোগ উঠেছে।