এই মুহূর্তে দুর্ঘটনার জেরে শিরোনামে ওড়িশা। ওই রাজ্যেরই মালকানগিরি জেলার প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রামের মেয়ে কার্মা মুদুলি, জেলার মধ্যে দ্বাদশ পরীক্ষায় হয়েছিলেন প্রথম। আদম শুমারি বলছে, ওই এলাকায় শিক্ষার হার ৬%, দিন আনতে পান্তা ফুরনো ওই গ্রামের মানুষগুলোর প্রধান চ্যালেঞ্জ অন্নের জোগাড়। দিন মজুরের কাজ, চাষবাস করেই তাঁদের দিন গুজরান হয়। অথচ, কার্মার দুচোখ জোড়া স্বপ্ন সে IAS বা IFS অফিসার হবে। দ্বাদশে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৮৮.৬৬ শতাংশ। যে গ্রামে শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি, সেখানেরই উজ্জ্বল তারা জনজাতি কন্যা কার্মা।
Odisha Train fire: ফের ট্রেনে আগুন ওড়িশায়, পুরী যাত্রার পথে বড়সড় বিপদ!
অথচ তাঁর সাফল্যের বছর ঘুরতে গেল, তাঁকে ভুলতে বসেছে দেশবাসী। কিন্তু কার্মা শিরোনামে উঠে এলেন অন্য রূপে। কলেজের খরচ বহন করতে কার্মা করছেন দিন মজুরের কাজ। ওই গ্রামের মহিলারা কয়লা ভাঙা থেকে ইট বওয়ার কাজ করে থাকেন। তিনিও সেই কাজে হাত দিলেন। লেকের খাতা কেনার অর্থও নেই তাঁর , তাই দিনের পর দিন পেন্সিল ব্যবহার করেন এই মেধাবী মেয়ে। যাতে লেখা মুছে আবার লেখা যায়। পারিবারিক আয় বলতে সরকারের কাছ থেকে পাওয়া বাবা-মায়ের বার্ধক্যভাতা। এখন কর্মার লক্ষ্য একটাই, এই অনটন ঘুচিয়ে শিক্ষার জয় আনা। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসে পরিবারের হাল ধরা।