ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে উত্তাল আইআইটিতে বানানো হল অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড। রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড তৈরি করল খড়্গপুর। ক্যাম্পাস চত্বরে যে কোনও রকমের র্যাগিং সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই নির্দেশিকায়।
গত ১৪ অক্টোবর খড়্গপুর আইআইটি-র হস্টেলের ঘর থেকে এক ছাত্রের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। হস্টেল সূত্রের খবর, ছাত্ররা বন্ধ ঘর থেকে গন্ধ পেয়ে কর্তৃপক্ষকে জানায়। পুলিশ ওই ঘর থেকে ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে। পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে।
এরপর ছাত্রের বাবা মৃতদেহ সনাক্ত করতে এসে অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলেকে কুকুর-বিড়ালের মতো জ্বালিয়ে ফেলা হয়েছে। ছ'সাত দিনের মৃতদেহকে এখন লাশ বলে চালানো হচ্ছে। এরপর ওই ছাত্রের মৃত্যুতে সিআইডি বা সিট চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় পরিবার। মৃত ছাত্রের পরিবারের সদস্যদের তরফে র্যাগিং করে খুনের অভিযোগ তোলা হয়।
এরপর ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার জেলা পুলিশ সুপারের রিপোর্ট তলব করেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে খড়গপুর আই আই টির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। সুপ্রিম কোর্টের র্যাগিং নিয়ে নির্দেশ খড়্গপুর আইআইটি-কে স্মরণ করিয়ে দেন বিচারপতি মান্থা।