প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার আগে ৮ বছর বয়সী রোহিত দামর এবং ১১ বছর বয়সী কৃষ্ণ দামর তাদের পোশাক খুলে রাখে। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও, এটাই সত্য। সেই পোশাক খুলে তারা পরিষ্কার প্লাস্টিকের ব্যাগে রেখে দিয়ে হাওয়াই চটি পরে নদীর দিকে যায়। তারপর অন্তর্বাস পরেই সাপে ভর্তি কোটেশ্বরী নদীর (Koteshwari river) স্রোতের বিপরীতে সাঁতরে পৌঁছে যায় অপর প্রান্তে। তারপর যায় স্কুলে। তাদের কাঞ্চানারিয়া গ্রামের স্কুল। যা রয়েছে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ধর জেলায়।
আরও পড়ুন: আরও একটি কক্ষপথ পার, চাঁদের মাত্র ১,৪৩৭ কিমি দূরে ইসরোর চন্দ্রযান
ভীল উপজাতি অধ্যুষিত গ্রাম রাসন্যা (Rasanya village)। স্কুলের উদ্দেশে বাড়ি থেকে যাত্রা শুরু করে সকাল দশটায়। কিন্তু স্কুল পৌঁছনোই যেন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। শুধু ওই দুজনই নয়। ওই গ্রামের আরও একাধিক বালক এবং কিশোর এভাবেই বছরের পর বছর ধরে স্কুলে যায়।
মোট ৪০ জন পড়ুয়া। কিছুটা পথ সাঁতরে, কিছুটা পথ হেঁটে নদী পেরিয়ে। জানা গিয়েছে, শুধু তারাই নয়। তাদের অভিভাবকরাও স্কুলে যেত এভাবেই। বহুবার আবেদন করা সত্ত্বেও এই গ্রামের মানুষ একটা কাঙ্ক্ষিত সেতু পায়নি। জানা গিয়েছে, ১৯৮০ সাল থেকে একটা সেতুর জন্য আবেদন করা হয়েছে বারবার। তবু, কেউ কথা রাখেনি। মাইলের পর মাইল পেরিয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এভাবেই একটু শিক্ষার আশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয় রোহিত, পবিত্র, সোনা-দের মতো পড়ুয়ারা।