মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীর সংঘর্ষ বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় দলের সদস্যরা। প্রতিনিধি দলে সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন ও মহুয়া মৈত্র ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন সাংসদ থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
জাহাঙ্গীরপুরীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আপাতত তোলপাড় সারা দেশ। ঘটনার সূত্রপাত হনুমানজয়ন্তীর দিন। স্থানীয়দের অভিযোগ, হনুমান জয়ন্তীর একটি মিছিল থেকে স্থানীয় দোকানপাট ও মসজিদে ভাঙচুর চালানো হয়। পাল্টা মিছিলকারীদের দাবি, স্থানীয়রাই মিছিলে পাথর ছোড়েন। ওই এলাকায় সরকারি জমিতে বেআইনি নির্মাণ রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। বেশ কিছু দোকান ও বসতবাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় প্রশাসন। আদালত সাময়িক ভাবে উচ্ছেদে স্থগিতাদেশ দেয়। আদালতের সেই নির্দেশ- নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সিপিআইএম নেত্রী বৃন্দা কারাট, বুলডোজারের সামনে রুখে দাঁড়িয়ে বন্ধ করান অবৈধ নির্মান গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজ।
জাহাঙ্গীরপুরী হিংসা ছড়ানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে রয়েছেন সুখেন সরকার ও সুরেশ সরকার নামের দুই বাঙালি-র । ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসাবে মহম্মদ আসলামের নাম সামনে এসেছে৷ তাঁর পশ্চিমবঙ্গ-যোগের খবর পাওয়া গিয়েছে। আসলাম হলদিয়ার ডোকারের বাসিন্দা। পাশাপাশি আরও দুই অভিযুক্ত সোনু শেখ ও আনসার শেখও হলদিয়ারই বাসিন্দা।