ধর্ষণে অভিযুক্ত ছেলে। আর সেই অভিযোগ থেকে বাঁচাতে ছেলেকে খুন বাবার। এই রোমহর্ষক ঘটনায় শোরগোল বিহারের ভাগলপুরে। প্রথমে ওই ছেলের মৃতদেহের ছবি নিয়ে থানায় হাজির হন মৃতের বৃদ্ধ বাবা। এরপরই পুলিশি তদন্তে উঠে আসে এক রোমহর্ষক কাহিনী।
জানা যায়, ২০১৮ সালে স্কুল শিক্ষক নীরজ মোদীর নামে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়। মামলার খবর পেয়ে বাড়ি ছেড়ে পালান অভিযুক্ত। পুলিশ বেশ কিছুদিন তদন্তের পর হাল ছেড়ে দেয়। এর ঠিক চারবছর বাদে ছেলেকে মৃত প্রমাণ করে থানায় তাঁর শবদেহের ছবি সহ হাজির হন অভিযুক্তের বাবা রাজারাম মোদী। আদালতও মৃতের ছবি ও শংসাপত্র দেখে মামলা বন্ধের নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন- Odisha Video: ১৫০০ টাকা ধার রয়েছে, বাইকের সঙ্গে হাত বেঁধে ২ কিলোমিটার দৌড় করানো হল তরুণকে
এরপরেই কাহিনীতে আসে নয়া মোড়। অভিযুক্তের মৃত্যুর এই খবরে বিশ্বাস করেননি নিগৃহীতার মা। তিনি খোঁজখবর নেওয়া শুরু করতেই প্রকাশ পায় এক চমকপ্রদ তথ্য। জানা যায়, ধর্ষণের অভিযোগ উঠতেই ছেলেকে ‘মেরে’ ফেলার পরিকল্পনা নেন রাজারাম। প্রথমে ছেলেকে চিতায় শুইয়ে ছবি তোলা হয়। তারপর কাঠের খরচের একটি ভুয়ো রসিদও দাখিল করেন ওই বৃদ্ধ। সেই রসিদের মাধ্যমে বিডিও অফিস থেকে মৃত্যুর ভুয়ো শংসাপত্র নিয়ে ছবি ও শংসাপত্র সহ বৃদ্ধ হাজির হন থানায়। পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য ওই ছবি এবং শংসাপত্র দেখানো হয়। আদালতে বিচারাধীন মামলায় পাঠানো হয় ওই ছবি এবং শংসাপত্র। এই নিখুঁত ছবি ও শংসাপত্রে আদালতও বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে মামলা বন্ধের নির্দেশ দেয়।
২১ মে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় রাজারামকে। ১৭ অক্টোবর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত নীরজ। দু'জন গ্রেফতার হতেই ফের ওই মামলা শুরুর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।