একে একে নয় জন। কাউকে থাবার আঘাতে। কাউকে আবার দাঁতের কামড়ে। এভাবেই বিহারের পশ্চিম চম্পারনের বাল্মীকি অভয়ারণ্যের পাশের এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে একটি বাঘ। এই ম্য়ানইটারকে দেখা মাত্র গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিন এক টানা একটার পর একটা গ্রামে ঢুকে হামলা চালাচ্ছে। এই ঘটনায় আরও পাঁচ জন গুরুতর জখম বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার গ্রামের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়েছে বছর তিরিশের এক যুবকের দেহ। তার নাম সঞ্জয় মাহাতো। এর আগে সিগাডি বলে আরও একটি গ্রামের ১২ বছরের কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় ওই বাঘ। তারও ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করেছে গ্রামবাসীরা। রাজ্য়ের বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে শার্প শুটারের একটি দল তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া ড্রোণের সাহায্যে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরে বাঘটিকে জ্যান্ত ধরার চেষ্টা করা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত খানিকটা বাধ্য হয়েই দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাঘ তখনই নরখাদক হয় তখন সে আহত হয়। তাই মনে করা হচ্ছে এই বাঘটিও কোনও না কোনও ভাবে আহত। জানা গিয়েছে অভারণ্যে অন্য বাঘেদের সঙ্গে মারপিট করতে গিয়ে আহত হয়েছিল এই বাঘ। তারপর থেকেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পাশের গ্রাম গুলিতে।