মৌসম ভবনের পূর্বাভাস ছিল ৩১ মে অর্থাৎ শুক্রবার কেরল হয়ে দেশে প্রবেশ করবে বর্ষা। কিন্তু তার একদিন আগে অর্থাৎ ৩০ মে ভারতে বর্ষা প্রবেশ করে গিয়েছে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য গত কয়েকদিন ধরেই কেরলে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মণিপুর এবং অসমে ৫ জুন থেকে বর্ষা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারই মাঝে সুখবর শোনালো মৌসম ভবন। কারণ বৃহস্পতিবারেই দেশে প্রবেশ করল বর্ষা।
সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ফি বছর সাধারণত জুন মাসের প্রবেশ করে মৌসুমী বায়ু। তারপরেই শুরু হয় বর্ষা। এবং সেপ্টেম্বরে বিদায় নেয়। কিন্তু এবার সব রেকর্ড ভেঙে মে মাসের একদম শেষে বর্ষায় আগমন। এর ফলে আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, এর ফলে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হবে। উত্তর-পশ্চিম এবং পূর্বের কিছু অংশ ছাড়া সারা দেশে ভালো বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তর-পূর্ব ভারতে বর্ষা দ্রুত প্রবেশ করলে বাংলার জন্য তা ভালো। এমনটাই ধারণা আবহাওয়া বিদদের। তবে এখনই বাংলায় মৌসুমী বায়ুর সেভাবে প্রভাব লক্ষ্য করা যাবে না। বাংলায় তা ঢুকতে দু-তিন দিন সময় লাগবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে বর্ষা আসার আভাস না থাকলেও উত্তরবঙ্গজুড়ে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গে পরিস্থিতি কিছুটা ব্যতিক্রমী। দক্ষিণের জেলাগুলিতে এখনও গরমের দাপট চলবে।
Read More- বিভাজনের রাজনীতি করে প্রধানমন্ত্রীর পদকে অপমান করেছেন মোদী, অভিযোগ মনমোহনের
চলতি বছরে ঝোড়ো ব্যাটিং করেছে গ্রীষ্ম। পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছিল IMD। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ঝাড়খন্ড, ওড়িশা, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশে তাপপ্রবাহের সতর্কতা দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। তারমধ্যে এজ্যের একাধিক জেলায় তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি ছাড়িয়েছিল। সেই সময় থেকেই আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছিলেন চলতি বছরে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে।
এরই মাঝে ২৬ মে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। তার জেরে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তুমুল ঝড়ের পাশাপাশি বৃষ্টি প্রবল বৃষ্টিও হয়েছে। একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। যদিও মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতি বদল হতে শুরু করে। ফের ভ্যপসা গরম পড়ে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়।
মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী শুক্রবার কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলার বেশ কিছু এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। আর সেকারণে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। আগামী সপ্তাহের সোমবার জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দার্জিলিং, কালিম্পং-এ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
দক্ষিণবঙ্গে এখনই বর্ষার ব্যাপক প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। শনিবার দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় রয়েছে ভোটগ্রহণ। ওই দিন দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূমে বৃষ্টি হতে পারে। ফলে ভোট বিঘ্নিত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে মঙ্গলবার অর্থাৎ ভোট গণনার দিন গোটা রাজ্যেই হালকা বৃষ্টি হতে পারে।