এক দেশ, এক ভোটের উপর অবশেষে সিলমোহর বসিয়ে দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এবার অপেক্ষা সংসদের উভয়কক্ষে তা বিল আকারে পেশ করার। ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন, দেশে একবারই ভোট হবে। এই ইস্যুতে কী ভাবে এগানো যায় তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় বিজেপির অন্দরে।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে ইস্তেহারে এই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আগে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে তৈরি করা হয়েছিল একটি কমিটি। প্রায় ১৯ হাজার পাতার রিপোর্টে ওই কমিটির সুপারিশ ছিল জাতীয়স্বার্থে সরকারের উচিত অবিলম্বে লোকসভার সঙ্গেই বিধানসভার ভোট করা।
হিসাব বলছে গত লোকসভা ভোটেও সরকারি ভাঁড়াড় থেকে খরচ হয়েছে ১০০ হাজার কোটি টাকার বেশি। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর প্রস্তাবের পর অনেক বিজেপি নেতাই দাবি করেছিলেন, একসঙ্গে ভোট হলে খরচ অনেকটাই কমে যাবে। থমকে যাবে না উন্নয়ন। কারণ, প্রতি বছর বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা ভোট হলে, উন্নয়ন থমকে যায়।
এবার সংসদে শীত অধিবেশন শুরুর আগেই বিজেপি থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, এই অধিবেশনেই আনা হবে এক দেশ, এক ভোট বিল। বিরোধীদের অভিযোগ, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার ঘুরপথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো একটি ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে।
বিরোধীদের এই অভিযোগকে আমলই দিতে চাইছে না সরকার। কারণ, বিজেপির সাফ কথা, দেশবাসীকে আর আলাদাভাবে ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না। সেই আইন-ই এবার সংসদের উভয়কক্ষে পাস করাতে আদা-জল খেয়ে নামছে শাসক বিজেপি।