৭৮ তম স্বাধীনতা দিবসের মধ্যরাত থেকে কার্যত তিলোত্তমার রাস্তা ভেসে গিয়েছে জনস্রোতে। আরজি কর কাণ্ডে দোষীর বিচারের দাবিতে ১৪ অগাস্ট ‘রাত দখল’ কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন বাংলার মেয়েরা। কিন্তু রাত বাড়তেই, গ্রাউন্ড জিরো আরজি করেই নেমে আসে দুষ্কৃতীদের আক্রমণ। তাণ্ডব রুখতে দিশেহারা হয়ে যায় পুলিশ।
৭৮তম স্বাধীনতার ভোরে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রায় দেড় ঘণ্টা বক্তব্য রাখেন। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ পতাকা উত্তোলনও করেন। নারী ক্ষমতায়ন থেকে দেশের শ্রীবৃদ্ধি, ছাত্র-যুবর ভবিষ্যৎ, বৈদেশিক সম্পর্ক, এরকমই একাধিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।
তবে দেশ যখন আরজি করে উত্তাল, তখন মোদীর মুখেও বাদ যায়নি নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গও। জোর সওয়াল করলেন ,দুষ্কৃতীদের ফাঁসির পক্ষে। স্পষ্ট বললেন, শুধু ঘটনা ঘটার সময় নয়, তারপর দোষীদের এমন সাজা হোক, এবং তা নিয়ে এমন চর্চা হোক -যেন তা দৃষ্টান্ত হয়ে থেকে যায়।
মহিলাদের উপর অত্যাচার নিয়ে লালকেল্লা থেকে বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, "উন্নয়নে মহিলাদের অংশীদারিত্ব রয়েছে। তবে একইসঙ্গে খারাপ খবরও আছে। নারীদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। রাজ্য সরকারগুলিকে বলব, বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। দোষীদের দ্রুত শাস্তি হওয়া উচিত। এধরনের অপরাধে যাদের সাজা হচ্ছে তাদের খবর প্রচার হোক। যাতে মহিলাদের উপর অত্যাচার করতে ভয় পায়। এই ভয় তৈরি করাটা দরকার।" পাশাপাশি, আগামী ৫ বছরে ডাক্তারি পড়ায় ৭৫ হাজার নতুন আসন তৈরি হবে বলেও ঘোষণা করেন নরেন্দ্র মোদী।
এছাড়া পড়শি দেশ বাংলাদেশ নিয়েও বক্তব্য শোনা যায় তাঁর মুখে। তিনি বলেন , "বাংলাদেশে যা হয়েছে পড়শি দেশ হিসেব তা নিয়ে চিন্তা হওয়া স্বাভাবিক। সে দেশের সংখ্যালঘু, হিন্দুদের নিয়ে উদ্বেগ থাকাও স্বাভাবিক। তবে আশা করা যায়, পরিস্থিতি দ্রুত ঠিক হবে।"
এদিকে রাজ্যেও রেড রোডে আজ কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মধ্যরাতের আরজি করের ঘটনা নিয়ে কী বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী, এখন সেইদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।