বিজেপির সঙ্গে ছাড়ার পর বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন নীতীশ কুমার। আবার সন্ধ্যা বেলা রাজভবনে ফিরে নতুন সরকার গঠনের জন্য দাবিও জানালেন তিনি। মঙ্গলবার দিনভর এক অভাবনীয় রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাক্ষী থাকল বিহার। এমনটা নয় এই প্রথম। এরআগে নীতীশ যুগে এমন ঘটনার সাক্ষী পাটনা। এদিন রাজভবন থেকে নীতীশ জানান, দলের সব সাংসদ এবং বিধায়করা এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত। এরআগে, রাজ্যে জোটসঙ্গী বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন বর্ষীয়ান এই জেডিইউ নেতা। বিজেপির বিরুদ্ধে সরকার ফেলার অভিযোগ করেন তিনি। এদিন বিজেপির সঙ্গ ছেড়েই যান আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের বাড়িতে। রাবড়ি দেবীর সঙ্গে দেখা করেন নীতীশ। বিকেল চারটের কিছু পড়ে গিয়ে রাজ্যপালের হাতে নিজের পদত্যাগ পত্র দিয়ে আসেন।
জানা গিয়েছে, রাজভবন থেকে বেরিয়ে রাবড়ি দেবীর সঙ্গে ফের দেখা করেন নীতীশ। তারপর ফিরে যান নিজের বাসভবনে। নতুন সমীকরণ তৈরি করতে নীতীশের বাড়িতেই বৈঠকে বসে আরজেডি, কংগ্রেস এবং বামেরা। রাজনৈতিক মহলের খবর, এই বৈঠকের পরেই ফের রাজভবনে গিয়ে ষষ্ঠবার সরকার গঠনের দাবি জানান তিনি। রাতে আরজেডি দাবি করে, বুধবার নতুন জোটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন নীতীশ। উপ-মুখ্য়মন্ত্রী তেজস্বী যাদব।
আজ থেকে সাত বছর আগেও পাটনার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই একই ছবি দেখেছে বিহারবাসী। সেবারও বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিল জেডিইউ। সে বার লালুর দলের আসন বেশি থাকলেও ‘পুরনো বন্ধু’ নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব দিয়েছিলেন লালু। সঙ্গে মন্ত্রী হিসেবে জুড়েছিলেন নিজের দুই ছেলে তেজস্বী ও তেজপ্রতাপকে। কিন্তু সেই সরকার বেশি দিন টেকেনি। আড়াই বছরের মাথায় ফের বিজেপির হাত ধরেন নীতীশ। মুখ্যমন্ত্রীও হন। তখনই নীতীশকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে দেগেছিলেন আরজেডি নেতারা।