গত বছর এই পাটনা থেকেই লোকসভা ভোটে বিজেপি বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর কাজ শুরু হয়েছিল। কংগ্রেসকে নিয়ে প্রথম বৈঠক করেছিলেন বিরোধীরা। রবিবার সেই পাটনাতেই আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে ইন্ডিয়া জোটের প্রথম ভাঙন হল। নীতীশ কুমারের ইস্তফায় তাতেই সিলমোহর পড়ল।
এদিন পাটনায় মুখ্যমন্ত্রী পদে পদত্যাগ করেই নীতীশের অভিযোগ, দেড় বছর আরজেডি, কংগ্রেসের সঙ্গে সরকার চালাছিলেন তিনি। কিন্তু গত কয়েকমাসে কোনও কিছু ঠিক যাচ্ছিল না। রাজনৈতিক মহলের দাবি, বেঙ্গালুরু পরবর্তী ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের পরেই নীতীশ বুঝে গিয়েছিলেন, এই জোটে তাঁর গুরুত্ব কমছে। বরং বাকিরা তাঁর গুরুত্বে থাবা বসাচ্ছে।
সুযোগ বুঝে রাজ্য রাজনীতিতে তাঁর ঘনিষ্ঠ বিজেপির সুশীল মোদীর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন নীতীশ। বিজেপির দিকে ফের বাড়িয়ে দিতে চান বন্ধুত্বের হাত। যদিও নীতীশের পদত্যাগে খুব বেশি একটা আমল দিচ্ছেন না ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। গত শুক্রবারই কলকাতায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নীতীশ কুমার জোট ছাড়লে খুব একটা ক্ষতি হবে না। বরং বিহারে আরও বেশি করে কাজ করতে পারবেন তেজস্বী যাদবরা।