শনিবারই সেনার তরফে জানানো হয়েছিল, অগ্নিপথ প্রকল্পের প্রতিবাদে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কাউকেই নেওয়া হবে না ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। তা যে কথার কথা নয়, সেটা প্রমাণ হয়ে গেল রবিবারই। অগ্নিপথ প্রসঙ্গে নিয়ে রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সেনা বিষয়ক দফতরের অতিরিক্ত সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরী। অগ্নিপথে কী প্রক্রিয়ায় নিয়োগ হবে, সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অনিল প্রথমেই স্পষ্ট করে দেন, বিক্ষোভকারী বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের স্থান নেই সেনাবাহিনীতে। ‘‘প্রত্যেক আবেদনকারীকে মুচলেকা দিয়ে জানাতে হবে, তাঁরা কোনও বিক্ষোভে অংশ নেননি। চাকরিপ্রার্থীদের পুলিশ রেকর্ডও যাচাই হবে।’’
গত সপ্তাহেই সেনাবাহিনীতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের নতুন প্রকল্প অগ্নিপথ ঘোষণা করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। চার বছরের জন্য দেশের ১৭-২৩ বছর বয়সি তরুণদের সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হবে এই প্রকল্পে। তারপর থেকেই অগ্নিপথ প্রকল্পের প্রতিবাদে দেশ জুড়ে পথে নেমেছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, এই প্রকল্প সেনায় যোগ দিতে ইচ্ছুক দেশের তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেবে। তাঁদের ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা না দিয়েই যুদ্ধক্ষেত্রে ঠেলে দেওয়া হবে। যদিও রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে অনিল পুরী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যত প্রতিবাদই হোক, তাঁরা অগ্নিপথ নিয়ে পিছু হটবেন না। প্রকল্প প্রত্যাহার করবেন না। বরং অগ্নিপথ প্রকল্পে কবে, কীভাবে নিয়াগ প্রক্রিয়া শুরু হবে, কবে অনলাইন পরীক্ষা হবে তার বিশদ তথ্য রবিবারই তিনি জানিয়ে দেন।
আরও পড়ুন- Narendra Modi : 'সবকিছুতেই রাজনীতি, এটাই ভারতের দুভার্গ্য', অগ্নিপথ নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী
অনিল পুরী জানান, অগ্নিপথ প্রকল্পে ২৪ জুন থেকে ভারতীয় বায়ুসেনায় নিয়োগের প্রথম দফার প্রক্রিয়া শুরু হবে অনলাইনে। ২৪ জুলাই অনলাইন পরীক্ষার ‘ফেজ ওয়ান’ শুরু হওয়ার কথা। ৩০ ডিসেম্বর শুরু হবে প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ। নৌবাহিনীর নতুন নিয়োগের প্রথম ব্যাচের সদস্যরা ২১ নভেম্বর থেকে প্রশিক্ষণ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন নৌবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠী।