ATM কথাটির সঙ্গে ওতোপ্রতঃভাবে জড়িয়ে রয়েছে টাকা। কারণ ATM-এ কার্ড পাঞ্চ করলেই মেলে প্রয়োজনমতো টাকা। কিন্তু এবার শুধু টাকা নয়, মিলবে চালও। তারজন্য চালু করা হয়েছে রাইস ATM। ওড়িশায় ইতিমধ্যে একটি রাইস ATM চালু করেছে সেখানকার সরকার।
রাইস ATM কী?
বর্তমানে রেশন থেকে চাল, ডাল সহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী পেতে হলে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয়। সঙ্গে রাখতে হয় রেশন কার্ড। নির্দিষ্ট সময় দাঁড়ালে তবেই মিলবে বরাদ্দ সামগ্রী।
কিন্তু রাইস ATM সম্পূর্ণ আলাদা। যা আদতে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ মেশিন। যেখানে আগে থেকেই স্টোর করে রাখা থাকবে চাল, ডাল সহ বিভিন্ন শস্য় দানা। এরপর গ্রাহকরা ওই মেশিনে নিজের প্রয়োজন মতো সামগ্রী গ্রহণ করতে পারবেন। এবং যে কোনও সময়ই ওই শস্য়দানা সংগ্রহ করা সম্ভব।
কীভাবে কাজ করবে ওই রাইস ATM?
রাইস ATM ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজন্য রেশন কার্ড নম্বর এবং বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন। প্রথমে ATM মেশিনে রেশন কার্ড নম্বর দিতে হবে। তারপর ওই মেশিনেই বায়োমেট্রিক অথন্টিকেশন করতে হবে। রেশন কার্ডের নম্বরের সঙ্গে বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন সাকসেস হলে কত কিলো চাল প্রয়োজন সেটা ওই ATM-এ উল্লেখ করতে হবে। ATM এর স্টোরেজে চাল থাকলে নির্দিষ্ট জায়গা দিয়েই পড়বে শস্য়।
কেন এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে?
রাইস ATM চালু করার পিছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, রেশনের চাল বিপুল পরিমাণে কালোবাজারি হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এর ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকা খরচ হয়। প্রাথমিকভাবে কালোবাজারি রুখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, রেশন বণ্টনের ক্ষেত্রে প্রচুর লোকবল প্রয়োজন। কিন্তু রাইস ATM এর ক্ষেত্রে কোনও লোকবলের প্রয়োজন নেই। দ্বিতীয়ত, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে রেশন বণ্টনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়েই গ্রাহকে উপস্থিত থাকতে হয়। তবেই মেলে খাদ্য সামগ্রী। কিন্তু রাইস ATM-এ যে কোনও সময়েই সামগ্রী পাবেন উপভোক্তারা।
কোথায় চালু হয়েছে এই পরিষেবা?
আপাতত ওড়িশার ভূবনেশ্বরে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হলে রাজ্যের বাকি সব জায়গাতেই এই পরিষেবা চালু করা হবে।