পাঁচ রাজ্যের ভোটে চার রাজ্যে ফের ক্ষমতায় ফিরেছে বিজেপি (Bjp)। রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ, আর তাতেই এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে (EPFO) সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। যার নিট ফল, মধ্যবিত্ত চাকুরিজীবীর পকেটে টান। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে 'অমানবিক' বলেই রবিবার অভিযোগ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী (Tmc Suprimo) ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রতিবাদী মমতার কটাক্ষ, উত্তরপ্রদেশে (Uttarpradesh) জিতে দেশবাসীকে উপহার দিয়েছে মোদী সরকার। গণ আন্দোলন গড়ে কেন্দ্রকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারে বাধ্য করতে হবে।
রবিবার টুইটারে তৃণমূল সুপ্রিমো লেখেন, “উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) ভোটে জিততেই আমজনতাকে উপহার দিল মোদী সরকার। চার দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন ইপিএফের সুদের হার। মহামারীর ধাক্কায় ধুঁকছে দেশের অর্থনীতি। মধ্যবিত্ত কর্মচারীদের পকেটেও টান রয়েছে। এমন পরিস্থিতে এই অমানবিক সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।” তিনি আরও লেখেন, “কেন্দ্রের এই অমানবিক, কৃষি-শ্রমিক বিরোধী, একমুখী পদক্ষেপ সরকারের আসল চেহারা প্রকাশ্যে নিয়ে এল। এটা এখন জলের মতো পরিষ্কার যে কেন্দ্র কৃষক, শ্রমিকের টাকা দিয়ে বড় শিল্পপতিদের সেবা করছে।”
আরও পড়ুন : আসানসোলে শক্রঘ্ন সিনহা, বালিগঞ্জে বাবুল, উপ-নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করলেন মমতা
মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আন্দোলন গড়ে তোলার দাবি জানালেন তিনি। তাঁর কথায়, “গণআন্দোলনের মাধ্যমে কেন্দ্রের উপর চাপ তৈরি করতে হবে যাতে এই কলঙ্কিত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে কেন্দ্র।” একধাক্কায় এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে (EPF Interest Rate) সুদের হার অনেকটা কমিয়েছে কেন্দ্র। এতদিন এই খাতে সুদ মিলত ৮.৫ শতাংশ হারে। ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষের জন্য এই সুদের হার কমিয়ে করা হল ৮.১ শতাংশ। যা ১৯৭৮ সালের পর সবচেয়ে কম। পরিসংখ্যান বলছে, এর আগে ১৯৭৭-১৯৭৮ সালে সবচেয়ে কম ছিল ইপিএফও-র সুদের হার (Interest Rate)। সেই সময় সুদের হার দাঁড়িয়েছিল ৮ শতাংশ। তার পর থেকে কখনই এত কম হারে সুদ পাননি চাকুরিজীবীরা।