বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশ (Uttar pradesh) থেকে শুরু হচ্ছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন (Assembly election)। প্রথম দফায় উত্তরপ্রদেশের ভোট হতে চলেছে ৫৮টি কেন্দ্রে। মূলত পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের এই অঞ্চলকে একদা বিএসপি (Bsp) দূর্গ বলা হত। কিন্তু ২০১৭ সালের পর থেকে পট-পরিবর্তন হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার প্রথম দফার ভোটের প্রাক-সময়ে সংবাদসংস্থা এএনআইকে (Ani) দেওয়া টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) নিশ্চিত, এবারও রাজ্যের মানুষ বিজেপিকেই ক্ষমতায় দেখতে চায়। উদাহরণ হিসাবে তিনি বলেন, "২০১৪ থেকে ২০১৯ দেশবাসী বিজেপিকে চেয়েছেন। উত্তরপ্রদেশেও তার কোনও ব্যতিক্রম হবে না। কারণ, তার প্রমাণ ২০১৭ সালেই দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের জনতা।" তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা আমাদের কাজ দেখেছেন, তাঁরা ফের আমাদেরই ভোট দেবে। বিজেপি যে রাজ্যগুলিতে সরকার চালাচ্ছে, সেখানে কোনও প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া নেই। বিজেপি প্রতিষ্ঠানমুখী ভোটে বিশ্বাস করে জানিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আগে কাজ হত না, তাই প্রতিষ্ঠানবিরোধী ভোট হত।’’
আরও পড়ুন : কাল থেকে শুরু হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন, নজরে পশ্চিমপ্রান্তের ৫৮ বিধানসভা
ভোট আসলেই ক্ষমতা অপব্যবহার করে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশে প্রথম দফার ভোটের আগেও বিরোধীরা এই অভিযোগ তুলেছে। মূলত কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে সন্ত্রস্ত করার অভিযোগও তুলেছে বিরোধীরা। এদিন সেই অভিযোগ কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন মোদী। তাঁর দাবি, যোগী আদিত্যনাথের শাসনে বদলে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ। কারণ, তাঁর দল স্থায়ীত্বে বিশ্বাস করে। আর এই পাঁচ বছরে সেটাই করে দেখিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। মোদীর মন্তব্য, ‘‘যোগী আদিত্যনাথ অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। এখন অপরাধীরা আত্মসমর্পণ করে বাঁচতে চাইছে।’’
এই ভোটের আগে থেকেই লখিমপুর খেরির ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের দাবি সরব বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এই ঘটনায় রাজ্য সরকার স্বচ্ছতা বজায় রেখেই তদন্ত করেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে।
শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, প্রাক-ভোট সময়ে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদী পাঁচ রাজ্যেই বড় জয় পাবে বিজেপি।