গত দুদিনে সংসদের উভয়কক্ষে বাজেট অধিবেশনের জবাবী ভাষণ দিতে গিয়ে কংগ্রেসকে (Congress) সরাসরি নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। লোকসভা এবং রাজ্যসভা উভয়কক্ষেই পরিবারতন্ত্রের খোঁচায় কংগ্রসকে বিদ্ধ করেছিলেন তিনি। বুধবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে সেই ধারার কোনও ব্যতিক্রম হল না।
উত্তরপ্রদেশে (Uttar pradesh) প্রথম দফার ভোট শুরুর ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফের অভিযোগ করলেন, দেশের অবক্ষয়ের কারণ কংগ্রেস-ই। তাঁর দাবি, একমাত্র তিনি এবং দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী (Atal Bihari Vajpaee) ছাড়া বাকি সবাই এসেছিলেন কংগ্রেসি স্কুল থেকেই। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস পরিবারতান্ত্রিক এবং দুর্নীতিগ্রস্ত। এখানে তিনি একটা সূক্ষ রেখা টানার চেষ্টা করেছেন। তাঁর দাবি, পরিবারের এক-দু’জন ভোটে দাঁড়ানো এক বিষয়, আর একটি পরিবারই দল চালাচ্ছে, সেটা আর এক বিষয়।
আরও পড়ুন : লখনউয়ে লক্ষ্যভেদ করবে বিজেপি-ই, প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী
শুধু কংগ্রস নয়, উত্তরপ্রদেশ প্রথম দফার ভোটের আগে পরিবারতন্ত্রের খোঁচায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিশানায় মুলায়ম সিং যাদব, অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টিও। তাঁর অভিযোগ, সমাজবাদী বলে যাঁরা নিজেদের দাবি করেন, তাঁরাও জনগণকে ঠকিয়েছেন। এই সমাজবাদীরা আসলে সবাই এক পরিবারের বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এক বার আমার কাছে একটি চিঠি এসেছিল। তাতে দেখেছিলাম, ওই পরিবারের ৪৫ জন কোনও না কোনও পদে রয়েছেন। ২৫ বছর বয়স হলেই পরিবারের সকলে কোনও না কোনও ভোটে লড়ার টিকিট পেয়েছেন।’’ প্রয়াত রামমনোহর লোহিয়া, জর্জ ফার্নান্ডেজ বা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের মতো সমাজবাদীরা কখনোই নিজেদের পরিবারকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেননি দাবি করে মুলায়ম পরিবারকে খোঁচা দেন তিনি।
শুধু দেশীয় রাজনীতি নয়, রাজ্যস্তরেও এদিনের সাক্ষাৎকারে মোদীর নিশানায় জম্মু-কাশ্মীরের ফারুক আবদুল্লা থেকে মেহবুবা মুফতি। এমনকী, তিনি সমালোচনা করেছেন তামিলনাড়ুর করুণানিধির পরিবারকেও।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কৃষি আইনের সমর্থনে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘যা করেছিলাম, ভালর জন্যই করেছিলাম। পরবর্তী সময়ে জানতে পারবেন, কেন, কী হয়েছিল।’’ মোদী বলেন, ‘‘আমি কৃষকদের যন্ত্রণা বুঝি। তাঁদের মন জয় করতেও সফল হয়েছি।’’ তবে সেই সঙ্গেই জানিয়েছেন, ‘দেশের স্বার্থে’ তাঁর সরকার বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার করেছে তাঁর সরকার।