শুক্রবার থেকে চারদিনের দিল্লি সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে পৌঁছেই দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সর্বভারতীয় স্তরে দলের রণকৌশল কী হবে, তা নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (President Droupadi Murmu) সঙ্গে একান্ত বৈঠক আছে তাঁর।
শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের উদযাপন করা হবে। সেই অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার নীতি আয়োগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক। সেখানেও যোগ দেবেন তিনি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর এই প্রথম দিল্লি সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে ইডি কর্তারা একের পর এক তল্লাশি করছে। তলব করা হচ্ছে তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের। এই সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: শুক্রবার থেকে তিনদিন বন্ধ উত্তরবঙ্গে টয় ট্রেন পরিষেবা, ফের চালু সোমবার
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দলের সাংসদদের সঙ্গে যোগ দিয়ে বাদল অধিবেশনে দলের রণকৌশল ঠিক করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি পৌঁছে সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের বাসভবনে বৈঠকে বসেন মমতা ও অভিষেকষ ইডি ও সিবিআই যেভাবে বিরোধী নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও গ্রেফতারি করছে, তা নিয়ে রাজ্যসভা ও লোকসভায় কীভাবে ঘুঁটি সাজাবে তৃণমূল, তাও ঠিক করে দেন তিনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর রাজ্যের কী পরিস্থিতি, তাও সাংসদদের কাছে তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।