দেশকে যাঁরা ভালবাসেন, তাঁরা সবাই নরেন্দ্র মোদীকে অপছন্দ করেন। মঙ্গলবার লোকসভায় মণিপুর নিয়ে অনাস্থা বিতর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। দমদমের সাংসদের অভিযোগ, তারা বাংলায় প্রতিনিধি দল পাঠায়। কিন্তু মণিপুরে পাঠাতে পারে না। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ঝুলিতে ৮০টি আসন নেই, অথচ ১০০ দিনের কাজের টাকা বিজেপি সরকার বন্ধ করে রেখে বলে এদিন লোকসভায় অভিযোগ সৌগতর। নিজের বক্তব্যে সাংসদ নিশিকান্ত দুবের কড়া সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান এই সাংসদ।
সোমবার অনাস্থা বিতর্কে তিনি আরও জানান, ম্যাটোর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। কর্মসংস্থানে ব্যর্থ সরকার। সংসদে কোনও প্রশ্নের জবাব দেন না প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বাস করেন না সংসদীয় গণতন্ত্রে। কোনও প্রতিশ্রুতি তিনি পালন করতে পারেননি বলেও অভিযোগ সৌগতর।
মণিপুর আলোচনাতেও উঠে এল কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে যাবতীয় বিতর্ক। সৌগতর অভিযোগ, বিরোধীদের টার্গেট করে ইডি, সিবিআই ব্যবহার করছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকারের সঙ্গে এনসিপি নেতা অজিত পওয়ারের হাত মেলানোর প্রসঙ্গ তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন : লোকসভায় শুরু মণিপুর নিয়ে অনাস্থা বিতর্ক, শুরুতেই মোদীকে আক্রমণ কংগ্রেসের
সংসদে মণিপুর নিয়ে অনাস্থা বিতর্কের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই টার্গেট করল কংগ্রেস। কথা ছিল, সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই মণিপুর নিয়ে কথা বলবেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু বেলা বারোটার পর বিতর্ক শুরু হতে নাম বদলে দেয় কংগ্রেস। রাহুলের জায়গায় বলতে ওঠেন গৌরব গগৈ। তাঁর অভিযোগ, মণিপুর পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ ডবল ইঞ্জিন সরকার। অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর ইম্ফল যাওয়া উচিত বলেও দাবি করেন গগৈ।
এদিন বিতর্ক শুরু আগেই অবশ্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেন, এই ইস্যুতে তিনি শেষ বলে ছক্কা হাঁকাবেন। কারণ, অঙ্ক বলছে বিতর্ক হলেও সরকার পড়ে যাওয়া কার্যত সম্ভব নয়। লোকসভায় মণিপুর নিয়ে বিতর্ক শুরুর আগেই অবশ্য রাজসভায় সাসপেন্ড করা হয় তৃণমূলের ডেরেক ও ব্রায়েনকে। বাদল অধিবেশনের পুরোটাই সাসপেন্ড থাকবেন তিনি।