লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election 2024) আর ১৫ মাস বাকি। বাম-কংগ্রেসের বিরোধী জোটের অংশ হবে না তৃণমূল। বৃহস্পতিবার এমনই জানিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি জানান, তৃণমূলের সঙ্গে মানুষের জোট হবে। মানুষের সমর্থন নিয়েই লড়ব।
বিজেপির বিরুদ্ধে বারবার সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে তৃণমূল। ২০২১ সালে বিধানসভা জয়ের পরই গোটা দেশ তৃণমূলের দিকেই তাকিয়ে। দিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেসের তৎকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও বৈঠক করেন মমতা। কিন্তু যত সময় গিয়েছে তৃণমূল ও কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে। সম্প্রতি রাহুল গান্ধীর মন্তব্য বিতর্ক উসকে দিয়েছে। ত্রিপুরা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড- উত্তর পূর্বের তিন রাজ্যের ফলাফলের পর তৃণমূল নেত্রী কী বার্তা দেন, তার দিকে নজর ছিল দেশের। বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেত্রী সাফ জানিয়ে দেন, কারও সঙ্গে জোটে যাবে না তৃণমূল।
আরও পড়ুন: তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে জয় বিজেপির, সদর দফতরে এসে মানুষকে ধন্যবাদ নরেন্দ্র মোদীর
বৃহস্পতিবার সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জোটপ্রার্থীর জয়ের পর তৃণমূল নেত্রী বলেন, "বিজেপিকে যারা হারাতে চান, তাঁরা তৃণমূলকে ভোট দেবেন। আর যারা কংগ্রেস-সিপিএমকে ভোট দেবে, তাঁরা বিজেপিকে ভোট দেবে, এটা আমি বিশ্বাস করি।"
সর্বভারতীয় বিরোধী জোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একাধিকবার বিবাদে জড়িয়েছে অন্য দলগুলি। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শরদ পাওয়ারের ডাকা বৈঠকে যোগ দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে ভোটদানে বিরত থাকে তৃণমূল। ফলে বিরোধী জোট নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়। গত একবছরে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ করলেও লোকসভার বিরোধী জোট নিয়ে নীরব ছিল তৃণমূল। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে হারের পর বাম-কংগ্রেস ও বিজেপিকে একই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে একা লড়াই করার বার্তা দিলেন তৃণমূলনেত্রী।