১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তার পর থেকে কখনও দলের সংবিধান বদল হয়নি। এই প্রথম সংবিধানের বদল এনে ‘জাতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি’ পদ আনতে চলেছে তৃণমূল। মূলত দলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘সাহায্য’ করার জন্যই ওই পদ তৈরি হচ্ছে। যিনি মমতা কোথাও সফরে গেলে বা অন্যত্র ব্যস্ত থাকলে বা অনিবার্য কারণবশত কাজ করতে অপারগ থাকলে, তাঁর ভূমিকায় কাজ করবেন।
ওই পদের জন্য দলের সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ‘স্বাভাবিক পছন্দ’ মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সংবিধান বদলের কাজ শুরু করে দিয়েছে প্রশান্ত কিশোরের (PK) সংস্থা আইপ্যাক।
আরও পড়ুন: Kalyan Banerjee: 'তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়..', শ্রীজাতর কবিতা পোস্ট করলেন 'প্রতিবাদী' কল্যাণ
তৃণমূলের সর্বোচ্চ সাংগঠনিক স্তর হিসাবে গঠিত হবে ‘জাতীয় পরিষদ’। তার সদস্যসংখ্যা হবে ২,০০০। ওই পরিষদের সদস্যদের মধ্যে নির্বাচিত এবং মনোনীত— দু’ধরনের প্রতিনিধিই থাকবেন। ওই পরিষদই হবে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি। তারাই জাতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতিকে পাঁচ বছরের মেয়াদে নির্বাচিত করবে।
একইসঙ্গে ৬ জন জাতীয় সাধারণ সম্পাদকও মনোনীত হবেন। জাতীয় পরিষদে ৩৩ শতাংশ করে মহিলা এবং তফসিলি জাতি-উপজাতির প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
তৃণমূলে দু'ধরনের সদস্য থাকবেন। যে কেউ প্রাথমিক সদস্য হতে পারবেন। কিন্তু 'সক্রিয় সদস্য' হতে গেলে ১০ জনকে দলে আনতে হবে। সক্রিয় সদস্যদের ভোটাধিকার থাকবে। বার্ষিক সদস্যপদের খরচ ১০০ টাকা।