প্রতিবাদের আর এক ছবি এবার মহারাষ্ট্রে। আত্মহননের চেষ্টা কার্যত বিফলে গেল রাজ্যের তিন রাজনৈতিক নেতার। শুক্রবার মহারাষ্ট্রের সচিবালয় থেকে ঝাঁপ মেরেছিলেন রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার সহ রাজ্যের আরও দুই বিধায়ক। কিন্তু তাঁদের মারণ-ঝাঁপে অন্তরায় হল জাল। উপর থেকে নীচে পরার সময় সেই জালে আটকে যান তিন জন। তাঁদের উদ্ধার করে পুলিশ।
কেন সচিবালয় থেকে মারণ-ঝাঁপ মারতে গেলেন রাজ্যের এই তিন নেতা ? সংবাদসংস্থার খবর, রাজ্যের বিশেষ এক গোষ্ঠীকে তফসিলি জনজাতির অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদ জানান রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার নরহরি জিরওয়াল। একইভাবে ঝাঁপ দেন মহারাষ্ট্রের দুই আদিবাসী বিধায়ক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জালে আটকে যাওয়ায় তিন নেতার শারীরিক কোনও ক্ষতি হয়নি। তবুও, এই তিন জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, স্লোগান দিতে দিতেই বিধানসভার চারতলা থেকে ঝাঁপ মারে ওই তিন জন।
রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের দাবি, মূলত পশ্চিম মহারাষ্ট্র ও মারাঠওয়াড়া অঞ্চলে এই বিশেষ জনগোষ্ঠীর বসবাস। গত কয়েক বছর ধরেই মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে তাঁরা সরকারের কাছে তফসিলি জনজাতির তকমা চেয়ে দাবি জানিয়ে আসছিল। ইতিমধ্যেই তাদের এক নেতা হুমকিও দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে। এই বছরের শেষে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোট। তার আগে, এই সংরক্ষণ নীতি এখন মহারাষ্ট্র রাজনীতি সরগরম।