পুরীতে মহাসমারোহে ছাপ্পান্ন পদে সাজিয়ে দেওয়া হয় ভগবান জগন্নাথের ভোগের থালা| শুধু দেবতা দর্শন নয়, বিশ্বাস সেই ভোগ দর্শনেও মেলে পুণ্য | সারাটা দিন ধরে জগন্নাথ দেবের ভোগ রান্না হয় প্রথা মেনে পুরীর মন্দিরে| তারপর সেই প্রসাদ বিতরণ করা হয় ভক্তদের মধ্যে| কথিত রয়েছে এই ভোগ দর্শনেই পুণ্য অর্জন হয়। এবার পুরীর মহাপ্রসাদ বিনামূল্যে ভক্তদের মধ্যে বিতরণের পথে হাঁটছে ওড়িশা সরকার।
শীঘ্রই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে হাঁটবেন তাঁরা, এমনটাই জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দ্রন। তিনি জানান, পুরীর মন্দিরে প্রতি দিন প্রায় ৫০ হাজার ভক্ত সমাগম হয়। পৃথ্বীরাজ বলেন, ‘‘পুরীর মন্দিরের মহাপ্রসাদ পেতে দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন। তাঁদের বিনামূল্যে মহাপ্রসাদ দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে পারি কি না, তা ভেবে দেখা হচ্ছে।’’
এই প্রসাদ কিনতে আগে কুপন লাগত। মন্দির সূত্রে খবর, পুরীর মন্দিরে রান্না হওয়া মহাপ্রসাদ বিক্রির জন্য নয়। কিন্তু সুয়ারা এবং মহাসুয়ারাদের তৈরি মহাপ্রসাদ মন্দিরের ভিতরেই আলাদা করে বিক্রি হয়। কতটা প্রসাদ বানালে তা ভক্তদের মধ্যে বিতরণ সম্ভব হবে, কিংবা সুয়ারা এবং মহাসুয়ারাদের তৈরি প্রসাদই ভক্তদের মধ্যে বিলি করা যায় কিনা তা নিয়েই আলোচনা চলছে সরকারের অন্দরে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি জগন্নাথ ভক্তরা।