একদিকে উৎসবের কার্নিভাল। অন্যদিকে দ্রোহের কার্নিভাল। এই দুয়ের মধ্যে মঙ্গলে ফের সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর শুনানি। এই শুনানিতে কী পর্যবেক্ষণ করবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ, তার দিকে তাকিয়ে এখন গোটা রাজ্য। তারমধ্যেই জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের প্রসঙ্গ তুলে আদালতরে দৃষ্টি আকর্ষণ করাতে চাইছেন জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয় সিং।
ধর্মতলার অস্থায়ী মঞ্চে গত ১০ দিন ধরে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ এবং নিজেদের ১০ দফা দাবিতে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তিও হয়েছেন। এই অবস্থায় জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয় সিংয়ের আর্জি, মঙ্গলবারের শুনানিতে আদালত জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন পরিস্থিতির কথাও যেন মন দিয়ে শোনেন।
গত কয়েকটি শুনানি পরে ইতিমধ্যেই আরজি করের ঘটনায় বিশেষ সিবিআই আদালতে নিজেদের চার্জশিট দাখিল করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। গত শুনানিতে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়েছিলেন, এই তদন্তে বেশ কিছু লিড রয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। তারপর দাখিল করা চার্জশিটে সিবিআই দাবি করেছে, এই ঘটনায় গণধর্ষণের কোনও যোগ নেই।
সিবিআইয়ের আরও দাবি, গত ৯ অগাস্টের ঘটনায় যে তথ্য-প্রমাণ এখনও পর্যন্ত তাদের হাতে এসেছে, তাতে স্পষ্ট এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত ধৃত সঞ্জয় রায়। প্রায় একশোর বেশি সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করে এই চার্জশিট তৈরি করেছে সিবিআই। সেখানে ফরেন্সিক রিপোর্টেও সঞ্জয়ই মূল অভিযুক্ত বলে দাবি করা হয়েছে।
যদিও সিবিআইয়ের এই চার্জশিট মানতে নারাজ জুনিয়র ডাক্তাররা। অনশন মঞ্চ থেকে তাঁদের অভিযোগ, ঠিক পথে হচ্ছে না আরজি করের তদন্ত। সিবিআই এই মামলায় সঞ্জয়কে অভিযুক্ত করলেও, সেই যুক্তি মানতে নারাজ জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের অভিযোগ, এই ঘটনা একজন নয়, একাধিক ব্যক্তির যোগ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
চার্জশিট দাখিলের পরেও অবশ্য বিশেষ আদালতকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল। আদালতের প্রশ্ন ছিল, সঞ্জয় যদি মূল অভিযুক্ত হন, তাহলে এই ঘটনায় গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের ভূমিকা কী ? শিয়ালদহ আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। পরবর্তী চার্জশিটে তাঁদের নাম থাকতে পারে।